এম জে ফরাজী, খুলনাটাইমস:
খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচন নিয়ে প্রধান দু’দলের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে খুলনার রাজনৈতিক অঙ্গন। হলফনামায় তথ্য গোপনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের পর এবার আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু। তবে সরেজমিন তদন্তে এ অভিযোগের কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং কর্মকর্তা। এদিকে প্রধান দু’প্রার্থীর এমন অভিযোগ পাল্টা অভিযোগে নগরবাসীর মনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত ১৬ এপ্রিল মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু আপীল কর্তৃপক্ষের বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগপত্রে তিনি তালুকদার আব্দুল খালেক’র মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান। এর পরের দিন ১৭ এপ্রিল এবং বৃহস্পতিবার ১৯ এপ্রিল আওয়ামী লীগ প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক একইভাবে হলফনামায় তথ্য গোপনের অভিযোগে বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুর মনোনয়ন বাতিলের জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর দুইটি আবেদন করেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী খালেক’র বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানী গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হয়। শুনানী শেষে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে নির্বাচনের আপীল কর্তৃপক্ষ ও বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া অভিযোগটি খারিজ করে দেন এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের জন্য আওয়ামী লীগ প্রার্থীর করা আবেদনের কোন শুনানী হয়নি। কারণ হিসেবে কর্মকর্তারা বলছেন, সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং যেহেতু এটি রিটার্নিং কর্মকর্তার বিষয় নয় তাই শুনানী হয়নি। যদি আওয়ামী লীগ প্রার্থী আপীল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন তাহলে শুনানী হবে।
এদিকে হলফনামায় তথ্য গোপনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগের মধ্যেই গতকাল শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর আওয়ামী লীগের প্রার্থী আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে আবেদন করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জু।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ‘২১নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক’র পক্ষে মাইকিং করা হয় এবং ২১নং ওয়ার্ডে ঘাট এলাকার আরশাদ আলী স্কুলের মধ্যে স্টেজ করে মে দিবস পালনের নামে নৌকা ও তালুকদার আব্দুল খালেকের ছবি সহকারে বিভিন্ন কালারের ব্যানার ও প্লেকার্ড নিয়ে বিকাল ৪টায় জমায়েত হয়েছে। যাহা আচরণবিধির আওতায় পরে।’
এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘বিকালে বিএনপি প্রার্থীর অভিযোগ পাওয়ার পরপরই কয়েকজন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়েছিলো। কিন্তু সেখানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেককে পাওয়া যায়নি। কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীকে দেখা গিয়েছিলো।