দেবহাটা প্রতিনিধি :সারাদেশের ন্যায় দেবহাটায়ও কয়েকদিন ধরে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলমান রয়েছে। কর্তৃপক্ষ বলছেন বিদ্যুত উৎপাদনের জ্বালানী গ্যাস সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। সংকট মোকাবেলায় বিদ্যুতের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমানোর বিকল্প নেই বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেবহাটা সাব-জোনাল অফিসের তথ্য মতে, দেবহাটা উপজেলায় বিদ্যুতের চাহিদা ৯ মেগাওয়ার্ড সেখানে পাওয়া যাচ্ছে ৪/৫ মেগাওয়ার্ড। যার কারনে চাহিদা মোতাবেক সরবাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা বলেছেন কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া গ্যাস সংকটের কারণে বিশ্ববাজারে দাম চড়া হওয়ায় খোলাবাজার বা স্পট মার্কেট থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) কেনা বন্ধ রাখায় এমন বিপাকে পড়তে হচ্ছে বিদ্যুত বিভাগকে। যার ফলে উপজেলায় কয়েকদিন ধরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কমে যাওয়ায় দেশব্যাপী বিদ্যুতের ঘাটতির সৃষ্টি হয়েছে। তবে কবে নাগাদ এই সমস্যার উত্তোরন হবে এখনো নিশ্চিত করতে পারছেন না বিদ্যুত বিভাগ।
দেবহাটা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম জহুরুল ইসলাম জানান,রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে গ্যাসের দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। যার কারনে আন্তর্জাতিক খোলাবাজার বা স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনা যাচ্ছে না। গ্যাসের দাম প্রচুর বেড়ে যাওয়ায় সরকার যে পরিমাণ ভর্তুকি দিচ্ছে, সেটা দিয়েও কাভার করা যাচ্ছে না। সে কারনে সরকারকে দোষারোপ না করে বিদ্যুতের ব্যবহার কমিয়ে আনতে পারলে দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতে চাহিদা মিটিয়ে ঘাটতি কাটানো সম্ভব হবে। অনেক গ্রাহক আমাদের অফিসে ফোন করে ভুল বুঝছেন আমি তাদেরকে বলব বিশ্ববাজারের পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন। সেই সাথে সরকারকে সহযোগীতা করুন। অচিরেই এই সমস্যার সমাধান হবে। তখন পূর্বের ন্যায় আপনাদের কাছে পরিপূর্ণ সেবা পৌঁছে দিতে পারব। তাই অপ্রয়োজনীয় বা অতিরিক্ত লোড বন্ধ করে ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন দেবহাটা সাব-জোনাল অফিসের এজিএম জহুরুল ইসলাম।