আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সিরিয়ার আসাদবিরোধী বিদ্রোহীদের সর্বশেষ শক্তিশালী ঘাঁটি এই ইদলিব। ২০১৫ সাল থেকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে বিদ্রোহীরা। তবে দৃশ্যত ভয়াবহ বিমান হামলার মাধ্যমে শহরটির নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিতে যাচ্ছে রাশিয়ার মিত্র আসাদ বাহিনী।সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, রবিবার ইদলিবের দক্ষিণাঞ্চল এবং হামা প্রদেশ সংলগ্ন এলাকাগুলোতে হামলা চালানো হয়।রুশ বিমান থেকে ১৪ দফায় হামলা চালানো হয়। আসাদ বাহিনীর হেলিকপ্টার থেকে বিদ্রোহী অধ্যুষিত এলাকা টার্গেট করে ২৫ ব্যারেল বিস্ফোরক নিক্ষেপ করা হয়।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইদলিবের ২৯ লাখ মানুষের মধ্যে ১০ লাখই শিশু। ফলে সেখানে আসাদ বাহিনী ও রাশিয়ার বেপরোয়া হামলায় প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।এর আগে শনিবার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান অঞ্চলটিতে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। তবে তার আহ্বানে সায় দেননি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
ইরান ও রাশিয়া দুই দেশই পুরো সিরিয়ার ওপর আসাদ বাহিনীর কর্তৃত্ব দেখতে চায়। বিপরীতে আসাদ বাহিনীর হামলা থেকে বেসামরিক জনগণকে সুরক্ষার ওপর দেয় দেশ তুরস্ক। এমন পরিস্থিতিতেই ইদলিব ইস্যুতে আলোচনার মধ্য দিয়ে সেখানে মানবিক বিপর্যয় এড়াতে শুক্রবার তেহরানে বৈঠক করে তুরস্ক, ইরান ও রাশিয়া। তবে ওই বৈঠকে একমত হতে ব্যর্থ হন নেতারা। আলোচনা ব্যর্থ হওয়ায় ইদলিবে বিমান হামলা শুরু করে আসাদ বাহিনী ও রাশিয়া। তবে সিরিয়ায় বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি দেখে আঙ্কারা বসে থাকবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এরদোয়ান।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়া ও সিরিয়ান বিমান হামলায় বেসামরিক মানুষের জীবন সন্ত্রাসীদের খেলনায় পরিণত হচ্ছে। পুরো দুনিয়া যদি এটি না দেখার ভান করে তবুও তুরস্ক পাশে বসে নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকবে না। এ যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদী সমাধান, শরণার্থী প্রত্যাবাসন ও স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করতে তুরস্ক অঙ্গীকারাবদ্ধ। সূত্র: আল জাজিরা, ডেইলি সাবাহ।