আফগানিস্তানে তালেবানের সাথে সরকারের তুমুল লড়াই

0
256

টাইমস বিদেশ : ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে আফগানিস্তান পরিস্থিতি। বিদেশি বাহিনীর অনুপস্থিতিতে আফগান বাহিনীর দুর্বলতা দিনদিনই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।আফগানিস্তানের বিভিন্ন এলাকা একের পর এক দখল করে নিচ্ছে তালেবান জঙ্গিরা। এ অবস্থায় রাশিয়ার অভিযোগ, যেকোনো অজুহাতে আবারো আফগানিস্তানে সামরিক হস্তক্ষেপ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। উত্তরাঞ্চলীয় কুন্দুজের প্রাদেশিক রাজধানী থেকে তালেবান নির্মূলে আফগান সরকারি বাহিনীর প্রাণপন চেষ্টা। তালেবানবিরোধীদের একসময়য়ের শক্ত ঘাঁটি উত্তরাঞ্চলেও গেল কয়েক বছরের বেড়েছে উগ্রবাদী সংগঠনটির অস্তিত্ব। ধীরে ধীরে দেশটির বিভিন্ন অংশের দখল নিচ্ছে জঙ্গিরা। তাই বিদেশি শক্তির প্রতি নির্ভরতা কমিয়ে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার কতটা সক্ষম তা বোঝা যাবে কিছুদনের মধ্যেই। এরইমধ্যে মধ্যাঞ্চলে প্রাদেশিক রাজধানী গজনী দখলে চারপাশ ঘিরে ফেলেছে তালেবান। সরকারি বাহিনীকে হটাতে তুমুল লড়াই চালাচ্ছে তারা। অন্যদিকে, দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহারের প্রাদেশিক রাজধানী থেকে তালেবান জঙ্গিদের নির্মূলে অভিযান শুরু করেছে আফগান বিশেষ বাহিনী। এই কান্দাহারেই ৯০ এর দশকের শুরুতে জন্ম নেয় তালেবান। এ অবস্থায় রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ অভিযোগ করেন, আফগানিস্তানের আশপাশে সামরিক উপস্থিতি রেখে, যেকোন সময় আবারো দেশটিতে আগ্রাসন চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা আঞ্চলিক শান্তিতে বিশ্বাস করি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তানে আবারো অশান্তি চায়। তাই আবারো দেশটিতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা আছে তাদের। আফগানিস্তানে শান্তি আনা জরুরি। কারণ এতে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নির্ভর করছে।’ গণমাধ্যমের বিশ্লেষণে বলা হচ্ছে, মার্কিন উপস্থিতিশূণ্য অস্থিতিশীল আফগানিস্তান মাথা ব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারে রাশিয়ার জন্য। এরইমধ্যে কয়েক হাজার আফগান প্রাণভয়ে সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে গেছে। দেশটিতে আবারো গৃহযুদ্ধ শুরু হলে প্রতিবেশী তাজিকিস্তানে আফগান শরণার্থীদের ঢল শুরু হতে পারে। যা মদদ যোগাতে পারে জঙ্গিবাদে। নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়তে পারে রাশিয়াসহ গোটা অঞ্চল।