সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
বিগত ১৯৭০ সাল থেকে বন্যা, খরা এবং কর্মসংস্থানের অভাবসহ নানা কারণে প্রায় ১ কোটি ১১ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কাজের সন্ধানে বিদেশ গিয়েছেন। এক্ষেত্রে প্রবাসী শ্রমিকরা যেনো মানব পাচার ও নির্যাতন থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারেন এজন্য আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা দ্য ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং দ্য ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট (ইউএসএইড) স¤প্রতি একটি চার পর্বের ভিডিও প্রদর্শন করেছে।
এ বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট পর্যন্ত নরসিংদীতে আয়োজিত বেশ কিছু কর্মশালায় মানব পাচার ও নির্যাতন বন্ধে এ ভিডিওগুলো নির্মাণ করে আইওএম এক্স। মানব পাচার ও নির্যাতন বন্ধে আইওএম এবং ইউএসএইডের একটি যৌথ উদ্ভাবনী প্রচারণা আইওএম এক্স, যা আইওএম এক্স রোড শো নামে পরিচিত। সঠিক ভিসা ছাড়া বাংলাদেশি অভিবাসীরা কর্মক্ষেত্রে তাদের চাকরিদাতাদের কাছ থেকে দেরিতে কিংবা মজুরি না পাওয়া, দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, চলাফেরায় বিধিনিষেধ, চুক্তি লঙ্ঘন, চিকিৎসা না দেয়া, শারীরিক ও যৌন নির্যাতন এবং প্রতিকূল কাজের পরিবেশের মতো বৈষম্যের শিকার হতে পারেন।
স¤প্রতি এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, বিএসসি। এছাড়াও, অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে মার্কিন দূতাবাসের প্রধান কনস্যুলার ক্যারেন হেইমসোথ, আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান শরৎ দাস এবং আইওএম এক্স’র প্রোগ্রাম লিডার তারা ডরমোটসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম, বিএসসি বলেন, ‘বাংলাদেশি অভিবাসীদের প্রবাসে থাকা অবস্থায় সকল ধরনের নির্যাতন প্রতিরোধে গৃহীত সব পদক্ষেপের সাথে আছে বাংলাদেশ সরকার। আইওএম নির্মিত এসব ভিডিও বাংলাদেশিদের জন্যই বানানো হয়েছে। বিদেশে নিরাপদে কাজের জন্য সঠিক ভিসা অপরিহার্য। আমরা আইওএম এক্স’র এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই, যাতে করে বিদেশে যেতে ইচ্ছুক অভিবাসীরা দেশত্যাগের পূর্বে তাদের ভিসা যাচাই করে নিতে পারেন।’
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট বলেন ‘মানব পাচার ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র অবস্থান অত্যন্ত স্পষ্ট এবং দৃঢ়। আমরা মানব পাচার ও নির্যাতন সহ্য করব না এবং সবদিক থেকেই এসব প্রতিহত করব। আইওএম এক্স’র রোডশো’র মাধ্যমে আমরা অভিবাসীদের বাড়ি ত্যাগের পূর্বেই তাদের বাইরে যাওয়ার চিন্তাকে নিরাপদ করে তুলতে সক্ষম হব। আর এটা প্রবাসে তাদের মানব পাচারের শিকার হওয়ার ঝুঁকি অনেকখানি হ্রাস করবে।’
আইওএম এক্স কর্মসূচীর প্রধান মিস তারা ডরমোট বলেন ‘বাংলাদেশিরা অনেক সময় ট্যুরিস্ট, হজ্ব কিংবা শিক্ষার্থী ভিসার মতো ভুল ভিসা নিয়ে কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশ যায়। তারা অনিবন্ধিত দালালের মাধ্যমে এটা করিয়ে থাকেন। ফলে যে কাজের জন্য তারা দেশের বাইরে যান সেটা করতে পারেন না উপরন্তু মানব পাচার ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়েন। নরসিংদীতে এসব বিষয় আমরা চিহ্নিত করেছি।’
আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান শরৎ দাস বলেন ‘আমরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বলি, না, এটা আপনাদের সমস্যা এবং আপনাদেরই এর সমাধান করতে হবে, তাহলে কে আমাদের পরামর্শ শুনত? আমরা বরং আইওএম এক্স রোড শো’র মাধ্যমে বিভিন্ন একালার মানুষের মধ্যে আলোচনার পরিবেশ সৃষ্টি করি এবং সমস্যা সমাধানের উপযুক্ত উপকরণ তৈরিতে সহায়তা করি যাতে করে তারা নিজেরাই সমস্যা সনাক্ত করে এর সমাধান করতে পারে।’
আইওএম এক্স রোড শো’র এর সাথে জড়িত সহযোগীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় সফলভাবে আইওএম এক্স রোড শো করা সম্ভব হয়েছে। সহযোগী প্রতিষ্ঠানগুলি হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট, ইউএসএইড, অভিবাসী কর্মী উন্নয়ন সংস্থা ও জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) এবং জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস (ডিইএমও)।
আইওএম এক্স’র ভিডিওগুলো দেখতে ভিজিট করুন: IOMX.org/BD
প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন:
Abu Fateh Mohammed Zakaria
Forethought PR 01717062341 zakaria@forethroughpr.com |
Shirin Akhter
IOM Bangladesh 01711187499 sakhter@iom.int |
Mia Barrett (English)
IOM X +66 84 705 2114 mbarrett@iom.int |
আইওএম এক্স
আইওএম এক্স হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) এবং ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) ব্যতিক্রমধর্মী প্রচারণা যার মাধ্যমে নিরাপদ অভিবাসনকে উৎসাহিত করা ও নির্যাতন এবং মানব পাচার রোধে উদ্যোগ গ্রহণে জনসাধারণকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। এই প্রচারণা তথ্য ও প্রযুক্তির শক্তি এবং জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে সমাজের তরুণদেরসহ এবং জনসাধারণকে মানব পাচারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে উৎসাহিত করে। আইওএম এক্স সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আচরণগত পরিবর্তন আনতে কাজ করে যেখানে উন্নয়নের জন্য যোগাযোগ (সিফরডি)- একটি প্রমাণভিত্তিক এবং অংশগ্রহণমূলক কাঠামো ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের কর্মকাÐ সম্পর্কে তথ্য/বার্তা তৈরিতে সহায়তা করে। বিস্তারিত জানতে ভিজিটি করুন: IOMX.org
ইউএসএইড
ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রধান সংস্থা যা সাড়া বিশ্বের যেসব দেশ দুর্যোগ এবং দারিদ্র থেকে বাঁচতে সংগ্রাম করছে তাদের সাহায্য করে। ব্যাংককে অবস্থিত ইউএসএইড’র এশিয়াবিষয়ক আঞ্চলিক উন্নয়ন মিশন, বৃহৎ পোর্টফলিও’র মাধ্যমে এবং এশিয়া ও অন্য দেশে যেখানে ইউএসএইড’র দীর্ঘস্থায়ী উপস্থিতি নেই সেখানে আঞ্চলিক ও আন্ত:দেশীয় প্রোগ্রাম তত্ত¡াবধান করে এবং এশিয়ায় অবস্থিত এর বেশ কিছু দেশীয় মিশনকে সহায়তা প্রদান করে। একই সাথে যেসব দেশে তাদের স্থায়ী অবস্থান নেই সেখাওে তারা প্রকল্প পরিচালনা করে। এই আঞ্চলিক কার্যক্রম এমন সমস্যাকে মোকাবেলা করে যা দেশের সীমারেখাকে অতিক্রম করে, যেমন – মানব ও বন্যপ্রানী পাচার, এইচ আই ভি/এইডস্, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষন ও বাণিজ্য। আরো তথ্যের জন্য দেখুন www.usaid.gov/asia-regional