অবশেষে কয়রায় চেয়ারম্যান আমীর আলীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের

0
329
শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

কয়রা প্রতিনিধি : পিকআপ গাড়ীর ড্রাইভার সেলিম শেখ কে পিটিয়ে হত্যা করায় খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আমীর আলী গাইন ও তার পুত্র হাবিবুল্লাহ বাহার সহ ১৩ জনের নামে কয়রা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত পিকআপ ড্রাইভার সেলিম শেখ (৩৭) এর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে বুধবার ১৩ জন কে আসামী করে এ মামলা দাখিল করেন, যার নং- ০৫ তাং ০৫/০৯/২০১৮। উল্লেখ্য গত ২১ আগষ্ট সকাল আনুমানিক ১১ টায় খুলনা থেকে মাছের খাদ্য বোঝাই করে ড্রাইভার সেলিম ও তার হেলপার আবুল কালাম বিকাল ৩ টায় উপজেলার জায়গীর মহল গ্রামে চেয়ারম্যানের মৎস্য ঘেরে পৌছায়। এ সময় ঘেরের কর্মচারী মনিরুলের সাথে মালামাল নামানো কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হলে মনিরুল ১ ও ৩ নং আসামী চেয়ারম্যান আমীর আলী ও তার পুত্র হাবিবুল্লাহ কে ফোন করেন। অতঃপর কিছুক্ষণের মধ্যে তারা ঘটনাস্থলে আসলে অন্যান্য আসামীরা ড্রাইভার সেলিম কে গাড়ী থেকে টেনে হিচড়ে নামিয়ে নাকে-মুখে এলোপাতাড়ি ভাবে ঘুষি মারলে সেলিম ঘটনাস্থলে মারা যায়। সূত্র জনায় চেয়ারম্যান ও তার পুত্র ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এক নেতার সহযোগিতার কারনে মামলা করতে পারেনি নিহত সেলিমের আত্মীয়রা। কিন্তু খুলনার মোটরশ্রমিক সংগঠনের আন্দোলনের ফলে পুলিশ ১৫ দিন পর থানায় হত্যা মামলা নিয়েছে। তবে নিহত সেলিম শেখের লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি এবং এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। ঘটনা সম্পার্কে চেয়ারম্যানের পুত্র জেলা পরিষদ সদস্য হাবিবুল্লাহ জানায় ঘটনার সময় তিনি বাড়ীতে ছিলেন না এবং ড্রাইভার ষ্টোক করে মারা গেছে।