২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যেই তুরস্কে এস-৪০০ মোতায়েন’

0
304

‘খুলনাটাইমস ডেস্ক: ২০২০ সালের এপ্রিলের মধ্যেই তুরস্কে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। গত সোমবার তুরস্কের ২০১৬ সালের ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থান উপলক্ষে দেওয়া এক ভাষণে এমন মন্তব্য করেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে তুর্কি সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ। এরদোয়ান বলেন, ইতোমধ্যেই রাশিয়া থেকে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আসতে শুরু করেছে। গত চার দিন থেকেই এর বিভিন্ন অংশ আসছে। আল্লাহ তাআলার অনুগ্রহে ২০২০ সালের এপ্রিল নাগাদ এটি পুরোপুরি মোতায়েন করা হবে।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, এ পর্যন্ত আটটি বিমানে করে এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন অংশ তুরস্কে আনা হয়েছে। বাদবাকি অংশগুলোও খুব শিগগিরই আঙ্কারায় এসে পৌঁছাবে। যারা আমাদের দেশে আঘাত হানতে চায় তাদের মোকাবিলায় এস-৪০০ হবে সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ বিনিয়োগে এটি তৈরি করা হচ্ছে।
২০১৯ সালের ১২ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা উপেক্ষা করে রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এস-৪০০-এর প্রথম চালান গ্রহণ করে তুরস্ক। রাজধানী আঙ্কারার একটি বিমানঘাঁটিতে এ চালানটি পৌঁছায়। তবে একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান এবং রাশিয়ার এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনায় আঙ্কারার ওপর ক্ষুব্ধ যুক্তরাষ্ট্র। তুরস্ক যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকেও ১০০টি এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান কেনার চুক্তি করেছে। এফ-৩৫ কর্মসূচিতেও ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে তারা। বিমানের ৯৩৭টি পার্টস উৎপাদন করছে তুর্কি কোম্পানিগুলো। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ন্যাটো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ এবং এটি একটি নিরাপত্তা হুমকি। যুক্তরাষ্ট্র চায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের বদলে তুরস্ক মার্কিন প্যাট্রিয়ট বিমানবিধ্বংসী ব্যবস্থা কিনুক। তবে তুরস্ক বলে আসছে, এফ-৩৫ ও এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আলাদা অবস্থানে থাকবে। আর বিকল্প ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহ করতে যুক্তরাষ্ট্র ধীরগতি দেখিয়েছে। এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ক্রয় চুক্তি অব্যাহত থাকলে এফ-৩৫ কর্মসূচি থেকে তুরস্ককে বাদ দেওয়ার সতর্কতা দিয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। হুঁশিয়ার করা হয়েছে, অর্থনৈতিক অবরোধের মুখেও পড়তে হতে পারে দেশটিকে। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পর তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে না। ২৯ সদস্যের সামরিক জোট ন্যাটো’র দ্বিতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী তুরস্কের। যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র তুরস্কের অবস্থান কৌশলগত কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিরিয়া, ইরাক ও ইরানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে দেশটির। সিরিয়া যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে আঙ্কারা। দেশটির কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে তারা সামরিক সহায়তা দিয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কয়েকটি ন্যাটোভুক্ত কয়েকটি দেশের সঙ্গে সম্প্রতি সম্পর্কের অবনতি হয়েছে তুরস্কের।