হার্ট অ্যাটাকে খাবার নিয়ন্ত্রণ জরুরি

0
286

খুলনাটাইমস স্বাস্থ্য: আজকাল প্রায়ই কমবয়সী ছেলে-মেয়েদের হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটছে। ২০ থেকে ৪০ এর মধ্যে মৃত্যুর ঘটনা পর্যন্ত ঘটছে। হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে মারাত্মকরকম। এই অসুস্থতার অন্যতম কারণ হিসেবে চিকিৎসকরা অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন ও অতিরিক্ত বাইরের খাবার খাওয়াকেই দায়ী করছেন। চাইলেই আপনি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন আপনার রোগশোক। নিজেকে ভালো রাখছে অনায়াসে কিছু খাদ্যাভ্যাস ও কার্যক্রম আমরা এড়িয়ে চলতেই পারি। কিছু চমৎকার খাদ্যভ্যাস, কিছু পুষ্টিকর খাবার,কিছুটা সচেতনতাই আপনার জীবনটাকে সুন্দর করে তুলতে পারে। হৃদরোগ যে কোনও বয়সেই হতে পারে বা হঠাৎ করে অ্যাটাক হতেই পারে। এটি ঠেকাতে আপনার দরকার বাড়তি সচেতনতা। মূলত রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ পরিমাণ বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে পারি। বিশেষ করে প্রাণিজ খাবার মাংস ও ডিমের কুসুম ইত্যাদি থেকে কোলেস্টরলের পরিমাণ বেড়ে যায়। চর্বির কারণে রক্তনালী সরু হতে থাকে এবং হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে আঁশযুক্ত খাবার বেশি করে খেতে হবে। সবুজ শাকসবজি ফলমূল বিশেষ করে টক ফল আমড়া,আমলকি,জাম্বুরা, বড়ই ইত্যাদি আমাদের কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ইলিশ মাছ বেশি করে খাওয়া যেতে পারে এটি উপকারী চর্বি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও মিঠাপানির মাছ খাওয়া যেতে পারে। সামুদ্রিক মাছ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। তাই খাদ্য তালিকায় বেশি পরিমাণ সামুদ্রিক মাছ খাওয়া উচিত। এছাড়াও খাবারের তেলের ব্যাপারে সাবধান হতে হবে,দোকানের বা রাস্তার পাশের ফুটপাতে ভাজাপোড়া থেকে সাবধান হতে হবে, রান্নার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধি সূর্যমুখী তেল ব্যবহার করে হৃদরোগসহ নানা ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আপনার হার্টকে ভালো রাখার জন্য আপনার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য আপনি প্রতিদিন কাঁচা হলুদ, কিছুটা কাঠবাদাম,আদা, রসুন,আমলকি, পাকা কলা ইত্যাদি নিয়মিত গ্রহণ করুন। এছাড়াও আপনার প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম কিন্তু আপনার সুস্থতা নির্ভর করে থাকে,তাই আপনার নিয়মতান্ত্রিক জীবন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসই পারবে বড় ধরনের বিপর্যয় থেকে আমাদের রক্ষা করতে।