সৎ ভাইয়ের স্ত্রীর মৃত্যুতে হাফসা সম্পত্তি পায় ইউনুস মাষ্টার! রায়েরমহলের হুরির মৃত্যুর চাঞ্চল্যকর তথ্য

0
688

সুমন আহমেদ/ফকির শহিদুল ইসলামঃ
খুলনা মহানগরীর রায়েরমহল এলাকায় জমির দলিল জাল-জালিয়াতি চক্রের তৎপরতা থেমে নেই। খুলনাটাইমস’র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই একের পর এক জমি জালিয়াতি চক্রের তথ্য উঠে আসছে। উৎকোচের বিনিময়ে এসব চক্রের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে থুকড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও ডুমুরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের কতিপয় অসাধু ব্যক্তিরা। এদের যোগসাজসে রাতারাতি জমির মালিক বনে যান ওই জমি জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা।

এক জমি জালিয়াতি চক্র বেপরোয়া সংবাদের অনুসন্ধানে এমনই এক অভিনব জালিয়াতের তথ্য উঠে এসেছে তিনি হচ্ছেন রায়রমহল এলাকার ইউনুস মুন্সি ওরফে ইউনুস মাষ্টার । তিনি তার সৎ ভাইয়ের স্ত্রীর মৃত্যুতে হাফসা সম্পত্তি পেয়েছেন প্রায় দুই একর । তার এই বিপুল পরিমান হাফসা সম্পত্তি পাওয়ার পেছনে যুক্তি জানতে চাইলেই তিনি হন উত্তেজিত । তিনি অনুসন্ধানকারীদের প্রশ্ন করেন কেন আমার হাফসা পাওয়া সম্পত্তি নিয়ে আপনারা জানতে চান । আরো পাওয়া গেছে মাহামুদা সুলতানা @হুরির মৃত্যুর চাঞ্চল্যকর তথ্য ।

জানা গেছে, মহানগরীর রায়েরমহল এলাকার মৃত গফুর শেখ ছিলেন ৯ একর সম্পত্তির একক মালিক। ১৯৫০ সালে তার সকল সম্পত্তি তিন কন্যা জোহরা খাতুন, মোমেনা খাতুন, আম্বিয়া নেছারকে যাবতীয় সহায় সম্পত্তি হেবা দলিল করে যান। গফুর শেখের মৃতুর পর তার বাড়িতে অবস্থান নেন তারই কন্যা আম্বিয়া নেছা। জোহরা খাতুন, মোমেনা খাতুন, আম্বিয়া নেছার নামে দেয়া গফুর শেখের হেবা দলিল মূলে ১৯৬২ সনের এস/এ রেকর্ড ভূক্ত হয়। কিন্ত সম্পত্তির পাশে থাকার সুবাধে আম্বিয়া নেছা ও তার স্বামী ইদ্রিস মহুরী বাংলাদেশ জরিপ আর/এস রেকর্ডে জোহরা খাতুন, মোমেনা খাতুনকে মৃত দেখিয়ে সমুদয় সম্পত্তি এককভাবে তাদের একমাত্র কন্যা মাহামুদা সুলতানা @হুরির নামে রেকর্ড ভুক্ত করেন।

২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর আম্বিয়া নেছা হৃদযন্ত্রে আক্রান্ত হয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন । ৬ দিন চিকিৎসা শেষে ২৮ ডিসেম্বর আম্বিয়া হাসপাতাল থেকে ত্যাগ করে এবং তার চাচাতো মামার ছেলে শেখ মোঃ সহিদুল্লা (সান্টু)’র বাড়ি এসে ওঠেন। তখন থেকে তিনি পক্ষঘাত গ্রস্থ (প্যারালাইস্ড)। পঙ্গু ও বোধ শক্তিহীন হয়ে সে মানসিক রোগীতে পরিনত হয়। আত্মীয় স্বজন বোনদের তিনি চিনতে বা নামও বলতে পারেন না। ২০১৭ সালের ২৪ জানুযারি আম্বিয়া নেছা মৃত্যু বরন করেন। অবশ্য, মৃর্ত্যুর পূর্বে আম্বিয়া নেছার কোন পুত্র সন্তান না থাকায় তিনি তার ও অন্য দুই বোনের সম্পত্তি নিজ কন্যা মাহামুদা সুলতানা @হুরির নামে রেকর্ড ভুক্ত করে যান।

২০১৭ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি শেখ মোঃ সহিদুল্লা (সান্টু), মোঃ সফিকুর রহমান রায়েরমহল মৌজার ২০ শতক ও হাসান খালী মৌজায় শূণ্য দশমিক ২৫ শতক জমি মৃত আম্বিয়া নেছার কন্যা মাহামুদা সুলতানা @হুরি নিকট থেকে ডুমুরিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে পন মুল্যহীন একটি পাওয়ার (দলিল নং-১০০৩) করিয়ে নেয়। এরপর একই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি শেখ মোঃ সহিদুল্লা (সান্টু) হরিনটানা থানাধীন রায়েরমহল মৌজায় ৪৫ শতক জমি একই প্রক্রিয়ায় পাওয়ার অব এ্যার্টনী করেন (দলিল নং-১২৫৬) ডুমুরিয়া সাব রেজিট্রি অফিস হতে। আর এই ৪৫ শতক জমি শেখ মোঃ সহিদুল্লা সান্টু নিজের পুত্র সন্তান শেখ মোঃ সাকিল এর কাছে ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা নগদে লেনদেন করিয়া আরেকটি বায়না দলিল সৃষ্টি করে।সান্টুর পুত্র সাকিলের নগদ ১ কোটি ৩০ টাকার উৎস এবং এ বিপুল পরিমান অর্থ কোন ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন বা উত্তোলন করা হয়েছে তার সঠিক কোন তথ্য জানাযায়নি । তবে দুদকে দাখিলকৃত অভিযোগের তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর ।

শুধু তাই নয় সহিদুল্লা সান্টু, সফিকুর রহমান ও মনিরুল ইসলাম ফান্টু ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল একই প্রক্রিয়ায় ১ একর ১ শতক জমি খুলনা রেজিস্ট্রি অফিসে ১৭৮৪নং দলিলে পাওয়ার করিয়ে নেয়। এ ঘটনা জানতে পেরে আম্বিয়া নেছার বোনের পুত্র আহমাদুজ্জামান খাঁন, একই সময় সে তার খালাতো বোন অসুস্থ মাহামুদা সুলতানা@হুরির কোন খোঁজ পায় না। অবশেষে হুরির সন্ধান চেয়ে হরিনটানা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

এরই ধারাবাহিকতায় হরিনটানা থানার এসআই সঞ্জয় কুমার দাস আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন শেখ সহিদুল্লা সান্টু অসৎ উদ্দেশ্যে মাহামুদা সুলতানা হুরিকে গোপন করে রেখেছে। এতে ম্যাজিট্রেট আদালত থেকে একটি তল্লাসী পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। সে খবর পেয়ে শেখ শহিদুল্লা সান্টু হুরিকে পুলিশের কাছে হাজির করে।

এরপর এস আই সঞ্জয় কুমার দাস মাহামুদা সুলতানা@হুরিকে পাওয়া গেছে বলে আদালতে তল্লাসী পরোয়ানা স্থগিতের আবেদন করেন। অবশ্য এই স্থগিতের আবেদনের প্রেক্ষিতে ম্যাজিট্রেট আদালত মামলাটি নথিভূক্ত করেন, সেখানে শহিদুল্লা সান্টুকে প্রধান আসামি করা হয়।

পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৬ আগস্ট মাহামুদা সুলতানা@হুরি মৃত্যু বরন করেন। এসময় রায়েরমহল এলাকায় জোরেশোরে গুঞ্জন ওঠে সম্পত্তি আত্মসাৎ করতেই হুরিকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। হুরির মৃর্ত্যুর ৪দিন পর ২০ আগষ্ট খুলনা রেজিষ্ট্রি অফিসে ৪৩৩৩ ও ৪৩৩৪নং দলিলে এবং একই বছরের ১০ অক্টোবর ৫২০৯নং দলিল মাহামুদা সুলতানা @হুরি করে দেন বলে দেখানো হয়। এসব দলিলে সনাক্তকারী ও স্বাক্ষী ৭জন ব্যাক্তির মধ্যেই সীমাবদ্ধ। দলিলে নেই কোন স্থানীয় মুরুব্বী বা হুরির কোন আত্মীয়স্বজন। এখানে হুরির স্থলে শফিকুরের বোন ও হায়দারের স্ত্রী এই সকল দলিল করে দেন বলে এলাকায় গুঞ্জন আছে।

অভিযোগ আছে, শফিকুর রহমান, শহিদুল্লা সান্টু, হায়দার, মনিরুল ইসলাম@ফান্টু মনির ও শাকিল মিলে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। কারণ ছিলো হুরির সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়া। এনিয়ে হুরির খালাতো ভাই ও জোহরা খাতুনের বড় ছেলে বয়রানিবাসী আশরাফুজ্জামান খাঁন দুদক খুলনায় চলতি বছরের ১৩ আগস্ট অভিযোগ দেন। যার অনুলিপি কর অঞ্চল খুলনা ও জেলা প্রশাসক বরাবর দাখিল করা হয়েছে।

এছাড়া জাল-জালিয়াতির অভিযোগ এনে রেকর্ড সংশোধনীর জন্য জোহরা খাতুনের আট সন্তান বাদি হয়ে ডুমুরিয়া সহকারি জজ আদালত খুলনায় মামলা করেন ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে। মামলায় বিবাদী হচ্ছে আড়ংঘাটা থানা এলাকার সহিদুল্লা সান্টু, সফিকুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম ও শেখ মো: সাকিল।

আর এই জালিয়াতি চক্রের সাথে হাত সখ্যতা রেখে চলেন মাহমুদা সুলতানা @হুরির মৃত স্বামী ইদ্রিস মহুরীর সৎভাই ইউনুস মুন্সি @ ইউনুস মাষ্টার । জালিয়াত চক্রের সাথে যোগসাজসে নিজেকে মাহমুদা সুলতানা @হুরির একমাত্র ওয়ারেশ দাবী করে । এবং সে মোতাবেক ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মৃত আবুল কালামের কাছ থেকে একটি ওয়ারেশ কাম সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে শুচতুর ইউনুস মুন্সি @ ইউনুস মাষ্টার । ওয়ারেশ কাম সার্টিফিকেটের বদৌলতে শফিকুর গংদের সহযোগিতার হাফসা হিসেবে প্রায় দুই এক সম্পত্তি হাতিয়ে নেন । ইতোমধ্যে হুরির দিঘির পাড় থেকে পাওয়া হাফসা জমি স্থানীয় নজরুল ঢালীর নিকট বিক্রি করেন এবং অন্যান্য দাগের ছোট ছোট অংশের জমি বিক্রি করে জমি জালিয়াত ইউনুস মাষ্টার হাতিয়ে নিয়েছে কয়েক কোটি টাকা।

এখন বিল পাবলা মৌজার খাল পারের ১.৩৫ এক একর পয়ত্রিশ শতক জমি বালু দিয়ে ভরাট করে প্লট আকারে বিক্রির প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন । হাফসা হিসেবে যাদের এ জমি পাওয়ার কথা তাদের সাথে থাকতে হয় রক্তের সম্পর্ক ।

কিন্ত অনুসন্ধানে জানাগেছে হুরির ঘরে স্বামী ইদ্রিস মহুরীর কোন সন্তান না হওয়ায় হুরি ছিল নিঃসন্তান । হুরি যে হেতু নিঃসন্তান তাহলে তার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির হাফসা পাওয়ার অধিকার একমাত্র তার খালা জোহরা খাতুন ও মোমেনা খাতুনের সন্তানরা । অথচ জালিয়াত ইউনুস মাষ্টার তার মায়ের গর্ভের সন্তান নয় ইদ্রিস মহুরী । ইদ্রিস মহুরী হলো ইউনুস মাষ্টারের সৎভাই এবং দুজনের মাও আলাদা । নিজের বাপের বা মায়ের সম্পত্তি নয় সৎভাইয়ের মৃত স্ত্রীর নামের সম্পত্তির হাফসা নেয় ইউনুস মাষ্টার ।

তার এ হাফসায় পাওয়া সম্পত্তি নিয়ে রায়েরমহল এলাকায় গুঞ্জন দিনকে দিন পরিষ্কার হচ্ছে তাহলে কি সত্যিই হুরির বিশাল ভুসম্পত্তি হাতিয়ে নিতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ভুমি জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা হুরিকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ।তার নামের সকল ভু-সম্পত্তি আত্মসাত করে রাতা রাতি কোটিপতি বনে যায় এ চক্রটি।

অপর এক সূত্রে জানা গেছে, হুরি হত্যা কান্ডের চাঞ্চল্যকর তথ্য । সূত্রটি জানায়, মাহমুদা সুলতানা @হুরির মা আম্বিয়া নেছাকে জালিয়াতি চক্রের সদস্যরা বলে তোমার মেয়েকে সুস্থ করে পায়ে হাটিয়ে আনা হবে এই জন্য এ্যাম্বুলেন্স এনেছি । জালিয়াতি চক্রের ফাঁদে পড়ে বৃদ্ধ আম্বিয়া নেছা রাজি হয়ে অসুস্থ হুরিকে ও তার মাকে নিয়ে আসে শেখ আবু নাসের বিষেশায়িত হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । হাসপাতালে ভর্তি পরই হুরির মা আম্বিয়া নেছা হৃদযন্ত্রে আক্রান্ত হয় । আম্বিয়া নেছাকে অন্য হাসপাতালে ভর্তি করে জমি জালিয়াত চক্র শফিকুল,সান্টু,মনিরুল,হায়দার আবু নাসের হাসপাতালে ভতি হওয়া অসুস্থ মাহমুদা সুলতানা @হুরিকে মুজগুন্নি আমতলা এলাকায় একটি বাসায় আনা হয় । সেই বাসায় বসে অসুস্থ ও বাক প্রতিবন্ধী পক্ষাঘাত গ্রস্থ হুরিকে জমি লিখে দিতে চাপ প্রয়োগ করে সান্টু,শফিকুল,মনিরুল । হুরি তাদের কথায় নিজের জমি লিখে দিতে ইশারায় অস্বিকার করলে তাৎক্ষনিক শফিকুল হুরির গলা চেপে ধরে অখত্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে জমি লিখে দে তানাহলে তোকে এখনই মেরে ফেলা হবে । এ সময় সেখানে উপস্থিত একজন শফিক ও সান্টুকে বলে ভাই এ ধরনের রুগিকে এভাবে নির্যাতন করিয়েন না । সে সুস্থ হলে আপনাদের যা জমি দরকার সে দিবে তাকে ছেড়ে দিন । এরপর হুরিকে সেখান থেকে নিয়ে আসা হয় জালিয়াতি চক্রের সেকেন্ড ইন কমান্ড শহিদুল্লা সান্টুর রায়েরমহলস্থ বাড়িতে । ওই বাড়িতে হুরিকে হাসপাতালে দেখা শুনা করা আয়া ও স্থানীয় আরো একজন আয়াকে রাখা হয় । হুরির মৃত্যুও সময় যে আয়া সান্টুর বাড়িতে অবস্থান করছিলো তাকে জিঞ্জাসাবাদ করলেই বেরিয়ে যাবে হুরিকে কি ভাবে দিনের পর দিন নির্যাতন করে তার ভুমি লিখে নেওয়া হয়েছে । শুধু তাই নয় প্রতক্ষদর্্শী ও হুরিকে সেবাদানকারী আয়াদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিয়ে জিঞ্জাসাবদ করলে হুরিকে হত্যার পরিকল্পনাকারী এবং এ মৃত্যুর দিন কিভাবে তাকে মারা হয়েছে বালিশচাপা দিয়ে নাকি ওষুধজাতীয় কিছু খাইয়ে এ রহস্য উন্মোচন করতে কাজ করছে

খুলনার একটি বে-সরকারী সোসাইটির আইনজীবি প্যানেল । এ সংস্থাটি চাঞ্চল্যকর ও তথ্য প্রমান ভিক্তিক হুরির মৃত্যু রহস্য উদঘাটন এবং হত্যাকান্ডে জরিত ও তার বিশাল ভু-সম্পত্তি আত্মসাতকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের লক্ষে সংস্থার পক্ষে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ।

ইউনুস মাষ্টারের কাছে জানতে চাইলে সে মুঠোফোনে খুলনাটাইমস’র প্রতিবেদককে উত্তেজিত কন্ঠে বলেন, জমি যার হোক আপনি কে? আপনি কেন এ ব্যাপারে নাক গলাতে এসেছেন? জমি জালিয়াতি করা হয়েছে কি-না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সে ব্যাপার আদালতের, আপনার না, ফারদার আমাকে ফোন করবেন না, তাহলে ভালো হবে না বলে দিচ্ছি। হুরির এই জমি নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করার কথা বলে তিনি মুঠোফোনের লাইনটি কেটে দেন।