সুন্দরবন উপকূলে ট্রলারে গণডাকাতি, ২০ জেলে অপহৃত

0
449

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি :
বঙ্গোপসাগরের দুবলারচর এলাকায় শনিবার ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩০ টি ফিশিং ট্রলারে গন-ডাকাতি সংগঠিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ছোট ভাই গ্রুপ পরিচয়ে সশস্ত্র জলদস্যুরা জেলেদের মারধর করে ২টি ফিশিং ট্রলার সহ ২০ জেলেকে অপহরন করেছে।
বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক দুলাল মাস্টার মোবাইল ফোনে জানান, শনিবার সকালে ছোট ভাই গ্রুপ পরিচয়ে সশস্ত্র জলদস্যু গ্রুপ দুবলারচর এলাকার সাগরে মাছ শিকাররত জেলে বহরে হামলা করে । তারা জেলেদের মারধর করে পাথরঘাটার ১০/১২ টি এবং মহিপুরসহ উপকুলের অন্ততঃ ৩০টি ফিশিং ট্রলারে ডাকাতি করে চাল, ডাল, ডিজেল, ইলিশ, মোবাইল ফোন সেটসহ অন্যান্য মালামাল লুটে ২টি ফিশিং ট্রলার সহ ২০ জেলেকে মুক্তিপনের দাবীতে অপহরন করে নিয়ে যায়।। অপহৃত জেলেদের মধ্যে মহিপুরের হারুন মিয়ার মালিকানাধীন এফবি মা জননী ট্রলারের মাঝি খোকন ও জেলে নিজাম, এফবি ইমরান ট্রলারের মাঝি খলিল মিয়ার নাম তাৎক্ষনিকভাবে জানা সম্ভব হয়েছে। অন্যান্য জেলেদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার মহিপুর, , পিরোজপুর জেলার ইন্দুকানি উপজেলার পাড়েরহাট বরগুনা জেলার পাথরঘাটা এলাকায় বলে জানা গেছে।
গত ২৪ জুলাই রাতে বনদস্যু ছাত্তার ভাই গ্রুপ কর্তৃক সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের শ্যালারচর এলাকা থেকে অপহৃত শরণখোলা ও পাথরঘাটাসহ বিভিন্ন এলাকার ৫ জন জেলে এখনো মুক্তি পায়নি। তাদের কাছে জন প্রতি তিন লাখ টাকা করে মুক্তিপন দাবী করা হচ্ছে। আইন শৃংখলা বাহিনীর তৎপরতার কারনে দীর্ঘদিন সাগরে জলদস্যুদের তান্ডব বন্ধ থাকলেও গত কয়েক দিনের ঘটনায় ইলিশ আহরনরত জেলেদের মাঝে নতুন করে আতংক দেখা দিয়েছে ।
শরণখোলার রায়েন্দা মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ফরাজী বলেন, সম্প্রতি সাগর ও সুন্দরবনে আবারো দস্যুদের তান্ডব শুরু হয়েছে। এতে জেলেদের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন মোংলা অপারেশন কর্মকর্তা লেঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মুঠোফোনে বলেন, ফিসিং ট্রলার বহরে ডাকাতির কথা তিনি শুনেছেন এবং জেলেদের উদ্ধারে কোষ্টগার্ড সদস্যরা সাগরে অভিযান চালাচ্ছে আজ (রবিবার) তিনি নিজে অভিযানে সাগরে যাবেন বলে জানিয়েছেন