সাতক্ষীরার সাড়াতলা সরঃ প্রাথঃ বিদ্যালয়ে ৫ শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে চলছে পাঠদান

0
291

আব্দুর রব লিটু: বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। এসরকার শিক্ষার জন্য শিক্ষকদের বেতন বৃদ্বি এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূলে বই, উপবৃত্তি সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের ভৌতিক অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন উন্নয়ন কল্পে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় সহ নির্মাণ করে দিচ্ছে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভবন, ওয়াশরুম এবং আধুনিক প্রযুক্তি। যাতে সরকারের ব্যয় হয় কোটি কোটি টাকা। কিন্তু সরকারের এসব গৃহীত পদক্ষেপ ব্যক্তি স্বার্থ গ্রহণের জন্য ধুলিশ্যত করার পাইতারা চালায়, তখন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী বলে মনে করে সচেতন মহল। আর এমনই এক ঘটনা ঘটেছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার সাড়াতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে শিক্ষা ব্যবস্থার একি দশা? ৫শিক্ষকের মধ্যে একজন ট্রেনিং এ। অবশিষ্ঠ চার শিক্ষকের ২জন পুরুষ ও ২জন নারী। পুরুষ ২জনের মধ্যে প্রধান শিক্ষক নিজেই তার এক সহকারী শিক্ষককে নিয়ে অফিসের কাজের নাম করে বাহিরে। আর অফিসে আলসেমিতে ব্যস্ত ২ নারী শিক্ষক। উপস্থিত কোমলমতি ৫ শিক্ষার্থী বাহিরে ঘেরের মাটিতে কাদামাটির খেলায় সময় কাটাচ্ছে। অথচ এই ৫ শিক্ষকের পিছনে সরকারের প্রতি মাসে ব্যয় হয় লক্ষাধীক টাকা। তাই সরকারের এ টাকা ব্যয় সঠিক হচ্ছে কি না এমন প্রশ্ন অনেকের। সরেজমিনে যেয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টিতে কাগজ কলমে রয়েছে ৬৫জন শিক্ষার্থী। যার মধ্যে প্রাক প্রাথমিকে ১০জন, প্রথম শ্রেণিকে ১১জন, ২য় শ্রেণিতে ০৬জন, ৩য় শ্রেণিতে ১৪জন, ৫ম শ্রেণিতে ১২জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। তার বিপরীতে ৫জন শিক্ষক-শিক্ষিকা কর্মরত আছেন। কিন্তু দুঃখ্যের বিষয় হলেও সত্যি যে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গেলে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পাশের একটি মৎস্য ঘেরে খেলা করতে দেখা মেলে। বিষয়টি জানতে বিদ্যালয়ে যাওয়া হলে শ্রেণি কক্ষে কোন শিক্ষার্থী বা শিক্ষককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে অফিস কক্ষে অলস সময় কাটাতে দেখা মেলে ২ শিক্ষিকার। জানতে চাইলে লাইলা মমতাজ নামের এক শিক্ষকা জানান, আমি বেশিদিন এই বিদ্যালয়ে আসিনি। তবে গতকাল আমাদের খেলা ছিল তাই আজ তেমন কেউ আসেনি। আরো জানান, প্রধান শিক্ষক ও এক সহকারী শিক্ষককে নিয়ে শিক্ষা অফিসে গেছেন। প্রধান শিক্ষক আব্দুস সত্তার জানান, আমি অফিসের কাজে বাহিরে এসেছি। আজ ছাত্র-ছাত্রী আসেনি, আগামি দিন হয়ত আসবে। আর ছেলে মেয়ে না আসলে আমরা কি করব। এব্যাপারে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসরা রুহুল আমিন জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।