সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজে ৩১ নং ওয়ার্ড আ’লীগের নেতা-কর্মীরা

0
324

নিজস্ব প্রতিবেদক:
জনসংখ্যার দিক দিয়ে ৩১ নং ওয়ার্ড মহানগরীর সদর থানাধীন গুরুত্বপূর্ন ওয়ার্ডের অন্যতম একটি ওয়ার্ড। বিশাল আয়তন ও জনগোষ্ঠি বেষ্টিত রুপসা পাড়ের এই ওয়ার্ডের রয়েছে নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। সরকারী,বে-সরকারী ও ব্যাক্তি মালিকাধীন অসংখ্য শিল্প-প্রতিষ্ঠান ছাড়াও রয়েছে খুলনা তথা আশপাশের এলাকা সহ অত্র অঞ্চলের জনসাধারনের বিনোদনের প্রানকেন্দ্র বর্ণিল রুপসা সেতু যা সর্ববৃহৎ এই ওয়ার্ডের নিজস্ব স্বকীয়তার পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে সম্ভাবনাময় অগ্রণী ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে। এমনই এক ওয়ার্ডের ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিল ২০১৯ সমাগত। আ’লীগের তৃনমূলের এই কাউন্সিলকে ঘিরে ওয়ার্ডের নেতা-কর্মী,সমর্থকদের মাঝে বইছে প্রানোচ্ছল উন্মাদনা।
শেখ মোঃ ফারুক হোসেন। ওয়ার্ড আ’লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। আগামী কাউন্সিলে তার উপর অর্পিত দায়িত্বের পূর্ণতা লাভের জন্য পূর্ণ সভাপতির পদেই প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানান। তিনি পূর্বেও ওয়ার্ডের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন পদে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন অত্যন্ত মেধা,ধৈর্য্য ও সুনামের সাথে। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি একজন সফল ব্যবসায়ী ও সামাজিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত বলে জানান। তিনি এরশাদ-খালেদা বিরোধী আন্দোলন সহ ১/১১’র মতো কঠিন সময়েও দলের পক্ষে সক্রিয় ভাবে কাজ করেছেন। তিনি বলেন,একটা পদে থাকার মানে হলো সকলের আমানত রক্ষাকরা যা তিনি করে চলেছেন। কারো সাথে কখনো কোন রূঢ় আচরন তিনি করেছেন এমন নজির নেই বললেই চলে। তিনি পূর্বের ন্যায় আগামীতেও কর্মী ও সংগঠনের সকলকে একত্র রেখেই সন্ত্রাস-মাদক-চাঁদাবাজি বন্ধের যে কর্মকান্ড চালু রেখেছিলেন তা অব্যাহত রাখতে বদ্ধ পরিকর বলে মন্তব্য করেন। তিনি আরো বলেন,কাজ করেছি,কাজে ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে কেউই ভুলের উর্দ্ধে নয়। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,তার চেয়ে যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করলেও তারা যেন অযোগ্য কাউকে নির্বাচিত না করেন। মোঃ জিয়াউল ইসলাম মন্টু। বয়োজোষ্ঠ এই নেতা বিগত সময়ে মহানগর আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক,সরকারি সুন্দরবন কলেজ ছাত্র সংসদের জিএস ও মহানগর আ’লীগের সদস্য ছিলেন। তিনি নিজেকে বাংলাদেশ আ’লীগের পরীক্ষিত সৈনিক দাবী করেন। তিনি ছাত্রাবস্থায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানীত হয়ে রাজনৈতিক জীবন শুরু করেন। আগামী কাউন্সিলে তিনি ৩১ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি প্রার্থী হবেন বলে জানান। দীর্ঘ সময়ে রাজনীতিতে যুক্ত এই ব্যাক্তি বর্তমান প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে স্বাধীনতার সুফলকে মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে চান। পাশাপাশি ওয়ার্ডের সকল প্রকার ভূমিদস্যু ও মাদক মুক্ত পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড গঠনের জন্য কর্মীদের আন্তরিক সহযোগিতা চান। শেখ মোঃ সোহরাব হোসেন। আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে প্রায় ৪ দশকেরও অধিক সময় যুক্ত আছেন। অতীতে এরশাদ,খালেদা বিরোধী আন্দোলন সহ বহু সংগ্রামে যুক্ত ছিলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এই নেতা এবারের কাউন্সিলে সভাপতি পদপ্রার্থী হবেন বলে জানান। কর্মীদের কাছে তার একমাত্র চাওয়া তারা যেন ভালো-মন্দ দিক বিবেচনা করে তাদের আগামী দিনের নেতা নির্বাচিত করেন। মোঃ নজরুল ইসলাম তালুকদার। ওয়ার্ড আ’লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক। আসন্ন কাউন্সিলে তিনি তার পূর্বের পদেই প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের প্রতিষ্ঠা কালীন আহবায়ক এবং পরবর্তিতে সাধারন সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন বলে জানান। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবা মূলক কাজও করে থাকেন। কর্মীদের কাছে তার একমাত্র চাওয়া তারা যেন স্বচ্ছ ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন ব্যাক্তিকে নির্বাচন করেন। বহু আন্দোলনের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকা এই নেতা ৮৪ পরতর্তি স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী সহ আওয়ামী দলীয় সকল আন্দোলনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করার জন্য তৎকালীন সময়ে একাধিক মামলার শিকার হন বলে জানান। তিনি আরো বলেন তৃনমূল পর্যায়ের পরীক্ষিত ও ত্যাগী কর্মীদের মূল্যায়ন করা সহ সুন্দর একটি কমিটি উপহার দেয়ার জন্য যাকিছু করনীয় তা তিনি করবেন। আলহাজ্ব সাহেবুর রহমান পিকু মোল্লা। তিনি ওয়ার্ড আ’লীগের পরপর ২ বার নির্বাচিত সাধারন সম্পাদক। তিনি বলেন,আওয়ামী ঘরানার পরিবারেই তার জন্ম। যে কারনে তার রক্ত শিরায় আওয়ামীলীগের রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান। সাবেক সেনা সদস্য এই নেতা ৩০ বছরেরও অধিক সময় ধরে তার প্রিয় সংগঠন আ’লীগের জন্য রাজপথের সকল মিটিং মিছিলে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে জানান,নির্বাচিত হলে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে সুষ্ঠ সুন্দর ওয়ার্ড গঠন করবেন। আলহাজ্ব খান মোঃ কবির হোসেন। ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সদস্য এবং প্রস্তাবিত সদর থানা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি জানান,তার রাজনৈতিক শিক্ষাগুরু বর্তমান নগরপিতা আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক । ২ যুগের বেশি সময় ধরে রাজনীতিতে যুক্ত থাকা এই নেতা ৪ দলীয় জোট বিরোধী আন্দোলন,১/১১’র আন্দোলনের সময় হয়রানি ও মিথ্যা মামলার শিকার হন বলে জানান। নির্বাচিত হতে পারলে তিনি দল ও সংগঠনের সকলকে সাথে নিয়ে নবীন প্রবীনের সমন্বয় ঘটাবেন এবং ডিজিটাল ওয়ার্ড আ’লীগ গঠনে শক্তিশালি ভূমিকা রাখবেন বলে মন্তব্য করেন। কাজী মোঃ ইউসুফ আলী মন্টু। অত্র ওয়ার্ড আ’লীগের সাবেক আহবায়ক। তিনি জানান, আওয়ামী দলীয় বিভিন্ন স্তরে গুরুত্বপূর্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি আগামী সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক প্রার্থী। এরশাদ বিরোধী,খালেদা হঠাও আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহন করেন। ৩ দশকের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ না করা এই নেতা বলেন যেহেতু ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে এসেছি তাই অনেক কিছু শিখছি এবং শিখেছি। তিনি এক কথায় বলেন,কর্মীরা যদি যোগ্য মনে করেন তাহলে তাকে নির্বাচিত করবেন আর যোগ্য মনে না হলে নির্বাচিত না করার অনুরোধ জানান। মোঃ শরিফুল ইসলাম মুন্না। খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক ও সরকারি সুন্দরবন কলেজের ভিপি থাকা সহ দলীয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ন পদে অত্যন্ত সততা এবং সচ্ছতার সাক্ষর রেখেছেন। এলাকার কিছু মসজিদ ও বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তার কায়িকশ্রম ও আন্তরিকতা ছিলো বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তিনি এবারের সম্মেলনে সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী। তিনি জানান,ব সময় সংগঠনের সাথে যুক্ত ছিলেন সাহসিকতার সাথেই। তিনি নির্বাচিত হতে পারলে সংগঠন,কর্মী ও সাধারন মানুষের কল্যানে কাজ করার জন্য সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন বলে মন্তব্য করেন। শেখ মোঃ ইনামুল কবীর। তিনি সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী । ছাত্ররাজনীতি থেকে উঠে আসা এই নেতা তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় অংশ গ্রহন করা সহ রাজপথেই রয়েছেন বলে জানান।