শরণখোলায় ফিল্মি স্টাইলে ছাত্রীকে অপহরণ ১৫ ঘন্টা পর উদ্ধার, মামলা

0
440

মো: শাহিন হাওলাদার:
শরণখোলায় মাকে জিম্মি করে অনার্স পড়–য়া এক ছাত্রীকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নেয়ার ঘটনায় বুধবার শরণখোলা থানায় একটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে সুজন গাজী (২৯) নামের এক মাদক কারবারী দলবল নিয়ে ওই ছাত্রীকে অপহরণের ১৫ ঘন্টা পর মঙ্গলবার সকালে পুলিশ অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এব্যাপারে অপহৃত ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
শরণখোলা থানার মামলা সূত্র ও অপহৃতের পিতা উপজেলার মঠেরপাড় গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদারের অভিযোগে জানা যায়, মঠেরপাড় গ্রামের মোঃ ফারুক গাজীর পুত্র মাদক কারবারী সুজন গাজী প্রায় সময় তার শরণখোলা সরকারী কলেজে অনার্স পড়–য়া মেয়েকে উত্যক্ত করতো। সোমবার ( ১ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি বাড়িতে না থাকায় সুজন তার ৬/৭ জন মাদকাসক্ত বন্ধুকে নিয়ে তার বাড়িতে আসে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে তার স্ত্রী ময়না বেগমকে জিম্মি ও আসবাবপত্র তছনছ করে মেয়েকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিয়ে যায়। এসময় অপহৃতদের হামলায় তার স্ত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হন। তিনি জানান, সুজন ও তার দলবল খুবই দুর্দান্ত। মামলা করলে তারা কেউ বাড়ি থাকতে পারবেন না।
শরণখোলা থানার অফিসার ইনচার্জ এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, খবর পেয়ে তারা অভিযান চালিয়ে অপহরণের ১৫ ঘন্টা পর উপজেলার বানিয়াখালী এলাকা থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। ওই ছাত্রী এখন তাদের হেফাজতে থানায় রয়েছেন। অপহৃত ছাত্রীর পরিবারটি ভয়ে মামলা করতে প্রথমে রাজি হননি। পরে তাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে বুঝিয়ে রাজি করা হয়েছে। বুধবার সকালে ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন। মাদককারবারী সুজনের বিরুদ্ধে এর আগে শরণখোলা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে ওসি জানান।
খোন্তাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন জানান, ওই ছাত্রীর পিতা তার কাছে এসে ঘটনা জানালে তিনি পুলিশের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
আসামী সুজনের পিতা মোঃ ফারুক গাজী বলেন, তার ছেলের কারণে তিনিও খুব অতিষ্ট। সুজন মাদকাসক্ত হওয়ার পর থেকে তিনি কয়েকবার পুলিশ হেফাজতে দিতে চেয়েছিলেন, কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ার কারনে পারেননি। তিনি এখন সুজনকে আইনের আওতায় আনার জন্য সকল প্রকার সহযোগীতা করবেন।