শরণখোলায় ঘূর্ণীঝড় ফণীর তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়া পাউবো’র রিং বাধ মেরামত কাজ শুরু

0
557

শরণখোলা আঞ্চলিক অফিস:
শরণখোলায় বগী এলাকায় ঘূর্ণীঝড় ফণীর তোড়ে ভেঙ্গে যাওয়া বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিং বাধ ( অস্থায়ী বেরীবাধ) মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত বাধের অনেকাংশ বন্দ করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নতুন করে পাইলিং দিয়ে বালির বস্তা ফেলে বাধের ভাঙ্গা জায়গা মেরামত করা হচ্ছে। গত ৩ মে ঘূর্ণীঝড় ফণীর বায়ুতাড়িত পানির চাপে উপজেলার বগী গ্রামের বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের রিংবাধ ভেঙ্গে বগী ও দক্ষিণ সাউদখালী গ্রাম প্লাবিত হয়ে যায়। বলেশ্বর নদীর জোয়ারের পানিতে প্রতিনিয়ত বগী গ্রামের দুই শতাধিক বাড়ী জলমগ্ন হয়ে পড়ে। নদীর ভাটায় পানি অল্প পরিমাণে নেমে যায় ফলে মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌছে। অনেকের বাড়ীতে দুপুরে রান্নাবান্না হয়না। আত্মীয়স্বজনের বাড়ীতে খাওয়া দাওয়া করে তাদের বর্তমান জীবন চলে বলে ইউপি সদস্য রিয়াদুল পঞ্চায়েত জানান। ঘূর্ণিঝড়ের সময় ফণীর প্রবল বায়ুর চাপে বঙ্গোপসাগরের লোনা পানি বগী গ্রামের মাঠঘাট, পুকুর, ডোবানালা সয়লাব হয়ে গেছে। লবন পানির কারণে গ্রামের সব্জিক্ষেত, মাঠের ঘাষ বিনষ্ট হয়েছে। গাছপালা বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। লবনাক্ততার জন্য সুপেয় পানির অভাবে মানুষ দৈনন্দিন কাজ কর্ম করতে পারছেনা তা ছাড়া গবাদী পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে । লবন পানি ব্যবহার করে মানুষজন পেটের পীড়ায় আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত লোকজন হাসপাতালে না গিয়ে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে বগী গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেন মাঝি, আলাল হোসেন, ও এমদাদ হোসেন জানিয়েছেন।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরীবাধ নির্মাণ সিআইপি প্রকল্পের স্থানীয় কাজের তদারকির দায়িত্বে নিয়োজিত প্রকৌশলী শ্যামল কুমার দত্ত জানান, গত ৬ মে থেকে বগী এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ রিংবাধ মেরামত কাজ শুরু করা হয়েছে। ২/১ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করে জোয়ারের পানি ওঠানামা বন্দ করা হবে। তিনি আরো জানান, এই এলাকায় দেড় কিলোমিটার বেরীবাধ বর্তমানে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।