রোগীর সানি অপারারেশনে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নবৃদ্ধ, পর্যবেক্ষণে: মেয়র তালুকদার আব্দুর খালেক

0
382

ফুলবাড়ীগেট প্রতিনিধি:
খুলনার শিরোমণি বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল মাহমুদুল হাসান তারিফ ইস্যুতে প্রতিষ্ঠানে শৃংখল ফিরিয়ে আনতে এবং প্রতিষ্ঠানটি সুন্দর ও চিকিৎসা সেবারমান বৃদ্ধির জন্য পরিচলনা পর্ষদের বোর্ড সভায় নতুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়ার হয় কেসিসি মেয়র আলহাজ্জ তালুকদার আব্দুল খালেককে। দায়িত্বগ্রহনের পর প্রতিষ্ঠান যখন সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে চলছিল ঠিক তখনই রোগীদেরকে পুজি করে গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি। গত সোমবার হাসপাতারে চোখের সানি অপারেশন সাতজন রোগীর চিকিৎসায় দ্রুটি ধরা পড়ায় কর্তৃপক্ষের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে । বিষয়টি প্রতিষ্ঠানে চেয়ারম্যান ও কেসিসি মেয়র আলহাজ্জ তালুকদার আব্দুর খালেকের নজরে আসলে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি হাসপাতালে পরিদর্শনে আসেন ।
হাসপাতাল সুত্রে জানাগেছে, গত ৩০ সেন্টেম্বর হাসপাতালে ১৭জন রোগীকে চোখের ফ্যাকোসহ ছানি অপারেশেন করা হয়। এর মধ্যে কনসালটেন্ট ডা. বি এম সাইফুর রহমান ৯টি এবং ডাক্তার মিজানুর রহমান নাছিম ৮টি অপারেশন করেন। ডাক্তার বিএম সাইফুর রহমান যে ৯জন রোগী অপারেশন করেন তাদের ৭জন রোগীর প্রাথমিক পর্যায়ে চোখে সমস্যা দেখা দেয়। বিষয়টি উর্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত না করে কোন আলোচনা ছাড়াই তাৎক্ষনিক ভাবে হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুল হান্নান তদন্ত কমিটি গঠন করায় সকলের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়। হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা, মো. নজরুল ইসলাম বলেন অপারেশন কক্ষে পাশাপাশি টেবিলে একই যন্ত্রপাতি দিয়ে দু’জন ডাক্তার অপারেশন করলেন অথচ শুধুমাত্র ডাক্তার সাইফুর রহমানের রোগী গুলোর সমস্যা দেখা দিল বিষয়টি সন্দেহজনক। ডাক্তারদের জীবাণুমুক্ত করণে সমস্যা হলে দুই ডাক্তারের রোগীদের সমস্যা হওয়ার কথা। তাছাড়া অপারেশনকৃত রোগীদের সাথে জনিক একজন জুনিয়র কনসালটেন্টের অতি উৎসাহের সাথে চিকিৎসা সম্পর্কে ভীতি সঞ্চার করায় বিষয়টি সাভাবিক ভাবে প্রশ্ন থেকে যায়। হাসপাতালের নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক ষ্টাফ জানায়, মাহমুদুল হাসান ইস্যুতে প্রতিষ্ঠানে সকল সদস্য যখন সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে আন্দোলনের এক পর্যায়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জরুরী ভাবে পরিচালনায় পর্ষদের বোর্ড সভা আহবান করে গুরুত্বপুর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে এবং সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিবর্তন হয়। এই সভায় ডা. সাইফুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা যে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা ব্যার্থ হয়। শাস্তি দিতে ব্যার্থ হয়ে প্রতিষ্ঠানের একজন ডাক্তার, অটির ইনচার্জসহ কয়েক ব্যাক্তি ষড়যন্ত্র শুরু করে। তারই অংশ হিসাবে এই অনাকাখিত ঘটনা। বিষয়টি রোগীদের এবং প্রতিষ্ঠানে স্বাথে সঠিক তদন্ত করা প্রযোজন বলে তারা দাবী করেন। এদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্জ তালুকদার আব্দুল খালেক ঘটনা পর্যবেক্ষনে হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন । তিনি রোগিদের সাথে কথা বলে তাদের চোখের খোজখবর নেন। এ সময় রোগীরা তাকে অবহিত করেন তারা বর্তমানে ভালো আছে চোখে দেখতে পাচ্ছেন। বিশেষ করে যশোর মনিরাম পুরের আখিজান বেগম (৮৯) তিনি এখন চোখে দেখতে পাচ্ছেন এবং ভালো আছেন বলে চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন। পরে তিনি বিষয়টি তাকে অবহিত না করে কিভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করলেন এ বিষয়ে পরিচালক আব্দুল হান্নানের কাছে জানতে চান এবং এই ঘটনায় হাসপাতালের বাইরে থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার ঘোষনা দেন। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন হাসপাতাল পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ফুলতলা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্জ শেখ আকরাম হোসেন, বি এম আব্দুস সালাম, মহানগর আ’লীগের সহ-সভাপতি বেগ লিয়াকত আলী, ওয়ার্ড নেতা শেখ ইকবাল হোসেন।