রূপসায় ছেলেধরা গুজব ঠেকাতে মাঠে প্রশাসন, লিফলেট বিতরণ

0
476

রূপসা প্রতিনিধি:
ছেলেধরা গুজবের কারণে সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন রূপসাসহ আশ-পাশ উপজেলার অভিভাবকেরা। প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কমে গেছে উপস্থিতির হার। উপজেলাবাসীকে আশাস্ত করতে এবং ছেলেধরা আতঙ্ক কাটাতে জনসচেতনতা মূলক সভা করছে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ।
অভিভাবকেরা বলছেন, শুধুমাত্র ছেলেধরা গুজবের কারণে নিজেদের শিশু সন্তান নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। সব সময় চোখে চোখে রাখতে হচ্ছে সন্তানকে। অনেকে ভয়ে সন্তানকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠাচ্ছেন না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সন্তানের সঙ্গে যাচ্ছেন, আবার ছুটির পরে সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন অনেকে।
সূত্র জানিয়েছে, ছেলেধরা সন্দেহে রূপসা উপজেলায় এখনও কাউকে আটক বা মারপিট করা হয়নি।এছাড়া কাউকে দেওয়া হয়নি পুলিশের হাতে। যদিও ছেলে ধরা অভিযোগে গণপিটুনির শিকার হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়।
এদিকে ছেলেধরা গুজবের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন। স্কুল-কলেজ, মসজিদ ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সভা-সমাবেশ করছেন তারা।
ছেলেধরা গুজবে কান না দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীকে অনুরোধ করেন খুলনা-৪ আসনের এমপি আব্দুস সালাম মূশের্দী। এছাড়া অনুরোধ জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন ও থানা অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন।
রূপসা উপজেলার সদরস্থ আর্দশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক প্রভাষ কুমার দাস বলেন, প্রথম দিকে এর হার বেশি ছিল। গুজবের আগে স্কুলটিতে উপস্থিতির হার ছিল উল্লেখযোগ্য। এখন সে হার কিছুটা কম দেখা দিয়েছে। রূপসা উপজেলার প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়ে মা সমাবেশ করা হয়েছে। সমাবেশে গুজব ছেলে ধরা ও ডেঙ্গুর প্রতিরোধ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
রূপসা উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কাশেম বলেন, স্কুলগুলোতে উপস্থিতির হার কিছুটা কমে গেলেও এখন উপস্থিতির হার বাড়তে শুরু করেছে। তাছাড়া ভয় কাটাতে শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে ২৮ জুলাই প্রতি বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ করা হয়েছে। গুজবের বিষয়টি পরিষ্কার করছি আমরা ও শিক্ষকেরা। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এ বিষয়ে মতবিনিময় করছেন। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক কমছে।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, ছেলেধরা আতঙ্ক কাটাতে ও সচেতনতা বাড়াতে আমরা পুলিশ কর্মকর্তারা স্কুল-কলেজগুলোতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মত বিনিময় করে যাচ্ছি। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সভা করছি। পুলিশের পক্ষ থেকে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য মাইকিং করছি। তিনি এ বিষয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সহযোগিতাও কামনা করেছেন।