রামপাল পেড়িখালীর সাজা প্রাপ্ত বাবুল চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত

0
313

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের সাজাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুলকে সামায়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে বরখাস্তের চিঠি আসলেও সেটা রবিবার বিকেলে বরখাস্তের চিঠির কথা ফাঁস হয়েছে। ২০১৪ সালের ১৪ জুন ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্য্যক্রমে তথ্য সংগ্রহকালে রামপাল উপজেলার বড় কাটালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বেগম খাদিজা ইয়াসমিন ও তার স্বামী রবিউল আলম খোকনকে পেড়িখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুল বেধড়ক মারধর করেন। এ ঘটনায় শিক্ষিকা খাদিজা ইয়াসমিনের স্বামী রবিউল ইসলাম ১০ জুলাই রামপাল থানায় মামলা করেন। নির্বাচন কমিশন ২০১৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুলের বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক কঠোর ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেয়। একই সাথে রামপাল থানায় দায়েরকৃত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে অব্যহতি দিয়ে নতুন তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করার অনুরোধ জানিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবদের এ নির্দেশনার চিঠি দেন তৎকালিন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মু. আবদুল অদুদ। পরে তৎকালিন বাগেরহাট পুলিশ সুপারের নির্দেশে এই আলোচিত মামলাটি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
আদালত ১০ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানী শেষে চলতি বছরের ১ আগষ্ট বাগেরহাটের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট রাবেয়া বেগম পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুলকে দেড় বছরের কারাদন্ড প্রদান করেন। একই সাথে আদালত তাকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ড প্রদান করে। পরে এদিন তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের ( ইপ-১ অধিশাখা) উপসচিব ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী সাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্থাদেশ দেয়া হয়। ৯ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষর হওয়া প্রজ্ঞাপনে তাকে কেন চুড়ান্ত ভাবে অপসারণ করা হবে না তার জন্য কারণ দর্শাতেও বলা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, রামপাল উপেজলার পেড়িখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বাবুলকে বাগেরহাট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালত-২ জিআর ৯৪/২০১৪ নং (রামপাল) মামলায় দন্ড বিধির ৩৩২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছর ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং তিন হাজার টাকা অর্থ দন্ড অনাদায়ে আরো ৩০ দিন সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করায় জনস্বার্থে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমিচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। সেহেতু রফিকুল ইসলাম বাবুল কতৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্য্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী উল্লিখিত ইউপি চেয়ারম্যানকে তাঁর স্বীয় পদ হতে সাময়িক বহিস্কার করা হলো। একই সাথে তাকে কেন চুড়ান্ত ভাবে অপসারণ করা হবে না তার কারণ দর্শাণোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। পত্র প্রাপ্তির ১০ দিনের মধ্যে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এই কারণ দর্শাতে বলা হয় বলে জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখা থেকে জানানো হয়।