রামপালে করোনা পরিস্থিতিতে নিষেধাজ্ঞা মানছে না গুটিকয়েক ব্যাবসায়ী!

0
429

রামপাল প্রতিনিধি:
রামপালে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কিছু দোকানপাট খুলে মালামাল বিক্রয় করতে দেখা গেছে। সরকারী আইন মেনে দোকান বন্ধ রাখা ব্যাবসায়ীরা এতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন এতে আইন মানা সাধারন ব্যাবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, অপরদিকে এই অসাধু ব্যবসায়ীরা সরকারের আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এলাকার জনসাধারনকে করোনা ঝুঁকিতে ফেলছে। কোনো কিছুই এরা তোয়াক্কা করছে না।
সূত্রমতে সরকারী নির্দেশনা মোতাবেক করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশে নিত্যপন্যের দোকান বাদে অন্য সব দোকানপাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করে তা প্রচার করে। কিন্তু প্রশাসনের কড়া নজরদারী উপেক্ষা করে মালামাল বিক্রয়ের নতুন পন্থা তৈরী করেছে অসাধূ গুটিকয়েক ব্যাবসায়ী।
সরেজমিনে শনিবার বিকালে উপজেলার ফয়লাহাট, গিলাতলা, বাঁশতলী, গৌরম্ভা সহ বেশকিছু এলাকা পর্যবেক্ষন করে দেখাগেছে অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ। কিন্তু শুধুমাত্র নিত্যপন্যের দোকান খুলে রাখার কথা বলা হলেও অন্য মালামালের গুটিকয়েক দোকান খোলা আছে। দোকানের সাটার টেনে রেখে বাইরে থেকে ঘোরাফেরা করতে থাকেন এসব ব্যাবসায়ীরা। কাষ্টমার পেলে একেকবারে ৫/৭ জনকে নিয়ে দোকানে ঢুকে সাটার টেনে দিচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার নিয়ম থাকলেও তা নিয়ে যেনো কারোরই মাথাব্যাথা নেই। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে এসব দোকানদাররা দ্রুত দোকান বন্ধ করে সটকে পড়ে।
ফয়লাহাট কামারপট্টি কালভার্ট এর কিছু আগে রোডের উপর লোকজনের জটলা ও গ্যাসের বোতল রাখা দেখে সাংবাদিকরা সেখানে যায়। দেখা গেছে বাবু শীল নামের এক ব্যাক্তি সড়কের পাশে পর্দা টানিয়ে ফ্যানের কেনাবেচা চালাচ্ছে। ছোট গলির সামনে বসে ক্রেতাদের ডেকে নিয়ে ছোট গলির মধ্যে দলে দলে ক্রেতাদের ঢোকানো হচ্ছে। ক্রেতারা ওই একটি দোকান খোলা পেয়ে দলে দলে সেখানে ভীড় করছে। সাংবাদিকদের দেখে সে দ্রুত চম্পট দেয়। সাটার অর্ধেক খুলে রেখে মালামাল বিক্রয় করতে দেখাগেছে ফয়লাবাজারের আরও কয়েকটি ইলেকট্রনিক্স এর দোকানেও। একই ধরনের চিত্র উপজেলার গৌরম্ভা বাজারে।
কোনো ভাবেই সচেতন করা যাচ্ছেনা মানুষকে। ঘর থেকে প্রতিনিয়ত বাইরে বের হয়ে তারা ভীড় জমাচ্ছে হাট বাজার ও স্থানীয় দোকানে। মানুষের করোনা আক্রান্তের ঝুঁকি। ৩ ফুট দূরত্ব রেখে চলার কথা বলা হলেও তা মানছে না কেউই।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক দোকনদার জানান, আমরা সরকারী আদেশ মেনেই দোকানপাট বন্ধ রেখেছি। এরা কিছুলোক এভাবে দোকান হাফ খুলে মালামাল বিক্রয় করছে যেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বাজার কমিটিও এদের তদারকি করে না। আমরা এদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানাই। এদের দেখাদেখি অন্যরা ব্যাবসায়ীরা দোকানপাট খুলতে আগ্রহী হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহল বলছে এখনই ব্যাবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে। তারা এ বিষয়ে ব্যাবস্থা নিতে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।