মৎস্য দপ্তরের কৃষক মাঠ স্কুলের সুফল পাচ্ছে দাকোপের চাষীরা

0
487

আজিজুর রহমান, দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি, খুলনাটাইমস: 
দল গঠন করে শুরু হয় কৃষক মাঠ স্কুল। তারপর দেওয়া হয় অভিজ্ঞ কর্মকর্তা দ্বারা প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ। এরপর কৃষক মাঠ স্কুলের ৫০ জন কৃষাণ-কৃষাণীদের জন্য ২ দু’জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত প্রশিক্ষক দেওয়া হয়।
এভাবে খুলনার দাকোপ উপজেলা মৎস্য দপ্তর ইনোভেশন ইন কার্যক্রমের মাধ্যমে মৎস্যচাষীদের সেবাপ্রদান সহজিকরণ করে যাচ্ছে। এ কার্যক্রমে প্রশিক্ষকদের ২ দিনের গুড এ্যাকোয়া কালচার প্রাকটিসের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। যার ফলে কৃষক মাঠ স্কুলের মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে উপজেলার মৎস্য চাষীরা।
সুত্রে জানা যায়, ইনোভেশন ইন কার্যক্রমের জন্য উপজেলার প্রত্যেকটি  ইউনিয়নে ২টি করে মোট ১৮টি কৃষক মাঠ স্কুল আছে। প্রতিটি স্কুলে কৃষাণ-কৃষাণীর সংখ্যা ৫০ জন এবং প্রশিক্ষক ২ জন। এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ২ মাস পরপর কৃষাণ-কৃষাণীদের। এমন আধুনিক কারিগরি উন্নত মাছ সম্পর্কে কার্যক্রমটি সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে সরকারের কোন রকম অর্থ ব্যয় ছাড়া, প্রতি বছর ৪ থেকে ৫ হাজার চাষী সরাসরি আধুনিক প্রযুক্তি ও সেবা গ্রহণ করে চাষের উৎপাদন ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে জানায় মৎস্য দপ্তর।
কৃষক মাঠ স্কুল থেকে প্রশিক্ষণ নেয় কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের ধোপাদি গ্রামের চাষী লিটন জোয়াদ্দার। তিনি বলেন, মাছ চাষে এখন যে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে সেটি অনেক ভালো। আগে চাষ করতে হলে তেমন কোন কৌশল জানা ছিলো না। এর জন্য মাছও ভালো পেতাম না।
উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত প্রশিক্ষণে মাছ চাষ উপকরণ সামগ্রীর মাধ্যমে মাটি ও পানি পরিক্ষার গুরুত্ব ব্যাখা করা হয়। ইউনিয়ন লিফদের সহযোগীতায় চাষীদের মাঝে এ কার্যক্রমে নিয়োজিত থাকেন স্থানীয় প্রশাসন।
বাজুয়া গ্রামের চাষী মুরারী মোহন থান্দার জানায়, আধুনিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে মাছ চাষ সম্পর্কে অনেক ধারণা হয়েছে। আশা করি এভাবে চাষ করলে মাছ ভালো পাবো।
মৎস্য চাষ সম্প্রসারণ সেবা সহজিকরণ কার্যক্রম সম্পর্কে বাজুয়া ইউপি চেয়ারম্যান রঘুনাথ রায় বলেন, এমন আধুনিক প্রশিক্ষণ দিলে মাছ চাষে সফল হবে চাষীরা। তিনি আরোও বলেন, এ পদ্ধতিতে চাষ করলে দেশের আর্থিক অবস্থা পালটানো সম্ভাব। এতে চাষীরাও লাভবান হবে। তাই সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে এমন কার্যক্রম অব্যহত রাখতে হবে।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল বলেন, চাষীরা এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাছ চাষ করে উপকৃত হয়, সেজন্য আমরা তাদেরকে প্রশিক্ষণ দিয়ে যাচ্ছি। এ কার্যক্রম দেখে অনেকের নজর কেড়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার ৮টি স্কুলের প্রথম ধাপের প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করা হয়েছে।#