মোড়েলগঞ্জে পশ্চিম জিউধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হ-য-ব-র-ল অবস্থায় চলছে কার্যক্রম

0
429

এম.পলাশ শরীফ, মোড়েলগঞ্জ:
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের পশ্চিম জিউধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি কার্যক্রম চলছে হ-য-ব-র-ল অবস্থায় ।
প্রধান শিক্ষক খাজিন্তা আক্তারের বিরুদ্ধে রয়েছে নানাবিধ অভিযোগ। শিক্ষক সংকটে পাঠদান হচ্ছে ব্যাহত। সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের একাধিকবার অবহিত করেও হয়নি কোন ব্যবস্থা।
রোববার সরেজমিনে জানাগেছে, ২৮৬নং পশ্চিম জিউধরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৯০ সালে স্থাপিত। শিক্ষার্থী রয়েছে ২৩৩ জন, শিক্ষক মন্ডলী ৫টি পদ থাকলেও, কর্মরত রয়েছে প্রধান শিক্ষিকা খাজিন্তা আক্তার,সহকারি শিক্ষিকা আকলিমা খানম ও সদ্য মাত্র ডেপুটেশনে আশা সাহাজাহান সরকার তিনি আবার রয়েছে ২দিনের ছুটিতে। ২০১৭ সালে এ বিদ্যালয় থেকে সহকারি শিক্ষিকা শাহানাজ সুলতানা খুলনায় বদলী হয়। পরবর্তী ২০১৮ সালে শাহানাজ খানম অন্যত্র বদলী হয়। ২ বছরের ব্যবধানে পরপর ২ জন শিক্ষক বদলী হলেও অদ্যবধী পর্যন্ত নতুন কোন শিক্ষক আসেনী এ বিদ্যালয়ে।
সকাল ১১টা বিদ্যালয়ে ২য় শ্রেণীতে ক্লাশ নিচ্ছেন শিক্ষক আকলিমা খানম, ওই শ্রেণীতে মোট ছাত্র-ছাত্রী ৩৬ জন, উপস্থিত রয়েছে ২৮ জন প্রথম সিপটের ক্লাশ চলছিলো। প্রাক-প্রাথমিক প্রথম শ্রেণী ও ২য় শ্রেণী, প্রাক-প্রাথমিক ছাত্রছাত্রীদের ক্লাশ চলছে না ২দিন ধরে। প্রথম শ্রেণী শিক্ষার্থীরা ক্লাশে আসলেও তাৎক্ষনিক ছুটি দেওয়া হয়েছে তাদের। প্রধান শিক্ষক খাজিন্তা আক্তার অনুপস্থিত। বিদ্যালয়ে রয়েছে একজন সহকারি শিক্ষক আকলিমা খানম।

জানতে চাইলে শিক্ষক আকলিমা খানম জানান, বিদ্যালয়ে রংয়ের কাজ চলছে এ জন্য প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাশ বন্ধ রয়েছে। প্রথম শ্রেণী শিক্ষার্থীদের ছুটি দেওয়া হয়েছে। স্কুলে শিক্ষক নেই তাই একার পক্ষে দুটি শ্রেণী কক্ষে ক্লাশ নেওয়া সম্ভব নয়। প্রধান শিক্ষক অফিসিয়াল কাজে বাহিরে রয়েছে। এদিকে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মো. হারুন হাওলাদার, ইউপি চেয়ারম্যানসহ একাধিক অভিভাবকদের রয়েছে ক্ষোভ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে না এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দিচ্ছেন তার ইচ্ছা মাফিক চলছে বিদ্যালয়টি। যে কারনে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া ব্যাহত হচ্ছে। স্লিপ ও রুটিন মেইনটেন্যান্স টাকা থেকে স্কুলের কাজ সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তারও কোন তদারকি নেই।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা খাজিন্তা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষক শূন্য রয়েছে দীর্ঘ ২ বছর ধরে। যে কারনে এর প্রভাব পড়ছে ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর। স্কুলের কাজ চলছে এ কারনে প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাশ বন্ধ রয়েছে। তিনি শ্রমীকদের টাকা আনতে বাহিরে গিয়েছেলেন। প্রথম শ্রেণীর ক্লাশ ছুটির বিষয়টি তার জানানেই।
এ সর্ম্পকে উপজেলা শিক্ষা কমটির সদস্য, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু জানান, বিদ্যালয়টির শিক্ষক সংকটসহ প্রধান শিক্ষিকার বিভিন্ন অনিয়মের বিষয় ইতোপূর্বে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তাদের অবহিত করা করা হয়েছে। এমনকি উপজেলা মাসিক সাধারণ সভায়ও উত্তোলন করা হয়েছে। অদ্যবর্ধী পর্যন্ত হয়নি কোন প্রতিকার।
কথা হয় সংশ্লিষ্ট ক্লাষ্টার উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার অসীম কুমার সরকার জানান, ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিত ক্লাশ ছুটির বিষয়টি খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।