মোরেলগঞ্জে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র কার্যক্রম চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে

0
491

এম.পলাশ শরীফ,মোরেলগঞ্জ থেকে:
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কার্যাক্রম চলছে খুড়িয়ে খুড়িয়ে। একদিকে রয়েছে জনবল সংকট অন্যদিকে দায়িনার্স রিনা আফরোজ অফিসে আসেন সপ্তাহে ২দিন। কর্তাব্যক্তিদের নেই কোন তদারকী।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কল্যাণ কেন্দ্রটি মূল ফটকে নেই কোন সাইনবোর্ড। দীর্ঘদিনের পুরানো ভবনটিতে কোন মতে চলছে স্বাস্থ্য সেবার কার্যক্রম। সকাল সাড়ে ১১টা অফিসে রয়েছে ফার্মাসিষ্ট বাবুল ঘরামী তিনি একাই রোগী দেখছেন। অন্যসব রুমে ঝুলছে তালা।
উপ সহকারি মেডিকেল অফিসার ডা. অরুন কুমার সাহা তিনি অতিরিক্ত দায়িত্বে এ কেন্দ্রটির। সপ্তহে আসেন দু’দিন রবিবার ও বুধবার। আজমেরী খানম এফ ডব্লিউ ভি অতিরিক্ত দায়িত্বে পালন করছেন পার্শ্ববর্তী হোগলাপাশা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সেখানে তিনি কর্মরত রয়েছেন। মূল কর্মস্থল এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে সপ্তাহে শনি, সোম ও মঙ্গলবার ৩দিন বসেন। বাকি রবি ও বুধবারে দু’দিন ফিল্ডে থাকেন। মো. জসিম উদ্দীন পরিবার পরিকল্পনা ফিল্ড পরিদর্শক প্রতিদিন অফিস সময়ে স্বাক্ষর করে ফিল্ড চলে যায়।
রিনা আফরোজ দায়িনার্স নিয়মিত অফিসে থাকেননা তিনি দু’দিন অফিসে আসেন বলে জানিয়েছেন উপ সহকারি মেডিকেল অফিসার ডা. অরুন কুমার সাহা। আয়া পদটি দীর্ঘদিন শূন্য রয়েছে। নৈশ প্রহরী হাজরা সিরাজুল ইসলাম, তিনি জরুরী কাজে বাহিরে রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে চলছে স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি। প্রতিদিন ২০/২৫জন এ কেন্দ্রে রোগী আসেন। রয়েছে নরমাল ডেলিভারীর ওটি রুম। স্যানিটেশন ব্যবস্থা রয়েছে নাজুক। রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা নিতে এসে পরতে হয় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে।
কথা হয় চিকিৎসা নিতে আশা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষায় থাকা কচুবুনিয়া গ্রামের মোসাঃ হাজেরা বেগম(৭০), কামলা গ্রামের পিয়ারা বেগম(৪০), ঝিলবুনিয়া গ্রামের সাহেরা বেগম(৬৩), একই গ্রামের তামিম শেখ(১২) একাধিক রোগীরা বলেন, একজন মাত্র লোক দিয়ে এভাবে কি অফিস চলে। দেখার কি কেউ নেই? কর্মরত ডাক্তার(ফার্মাসিষ্ট) উনি একাই কি করবেন।
দায়িত্বরত ফামাসিষ্ট বাবুল ঘরামী বলেন, প্রতিদিন জ্বর, কাশি, সর্দি, ব্যথা ও গাইনী রোগী বেশী হয়। তিনি সার্বক্ষনিক সেবা দিচ্ছেন। সরকারিভাবে ওষুধপত্র পেলেও চাহিদা রয়েছে আরো বেশী। ডায়রিয়া রোগীদের খাবার স্যালাইন সাপ্লাই নেই।
এ সর্ম্পকে রিনা আফরোজ ০১৭৩৪৮০০৫৮৮ মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান, নিয়মিত অফিস করেননি এটা সঠিক নয়। বর্তমানে ওই ইউনিয়নে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এখন আর কর্মরত নন তিনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইব্রাহিম মোল্লা বলেন, রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে রিনা আফরোজ নিয়মিত অফিসে আসেনা বিষয়টি ইতোপূর্বে কেন্দ্রে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা তাকে অবহিত করেননি। তবে উপজেলা পর্যায়ে হেড কোয়াটারে বসে আমি আসার পূর্বে অনেকেই বসে বসে বেতন নিয়েছেন। তাদের কয়েকজনকে ইতোমধ্যে বদলী করে ইউনিয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পূর্বের নিয়ম এখন আর চলবে না। অফিসে যারা অনিয়মিত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন বলে এ কর্মকর্তা জানান।