মোংলা বন্দরে বিলাসবহুল গাড়ি লোপাটে দুইজন সাসপেন্ড, মামলা

0
470

মোংলা প্রতিনিধি:
মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি করা বিলাসবহুল গাড়ি লোপাটের ঘটনায় তোলপাড় শুর“ হয়েছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে বন্দর কর্তৃপক্ষের ট্রাফিক বিভাগ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দরের দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দরের যান্ত্রিক ও তড়িৎ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্নেল শাহ মিজানুর রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্র জানায়, গত প্রায় সপ্তাহ দেড়েক আগে বিদেশি পতাকাবাহি জাহাজ এমভি বাইকিং ওয়াসান নামক জাহাজে করে জাপান থেকে বিভিন্ন মডেলের প্রায় ৫ শতাধিক গাড়ি মোংলা বন্দরে আসে। পরবর্তীতে এ গাড়িগুলো বন্দরের শেডে রাখা হয়। গাড়ির এ চালানের মধ্যে আধুনিক মডেলের ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো ২০১৮ মডেলের (চেচিস নাম্বার পিআরজে-১৫০০০০৮৩৬৫৪) একটি গাড়ি ভুয়া কাগজ দেখিয়ে গত ৪ জুন মোংলা বন্দরের শেড থেকে একটি সংঘবদ্ধ চক্র গাড়িটি কৌশলে বের করে নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে বিলাসবহুল গাড়িটির খোঁজ পড়লে জানা যায় সেটি আগের দিন বিকেলে বের করে নেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় বন্দরের ট্রাফিক অফিসার মিজানুর রহমান প্রথমে মোংলা থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। পরে মঙ্গলবার রাতে তিনি একই থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
গাড়ি আমদানিকারক মালিকদের সংগঠন বারবিডার সভাপতি মো. হাবিবুল্লা ডন বলেন, মোংলা বন্দর কেন্দ্রিক গাড়ি আমদানিকারকদের মধ্যে ভীতি ছড়ানো ও বন্দরের সুনাম নষ্ট করতেই সংঘবদ্ধ চক্র এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনার দায় বন্দরের নিরাপত্তা, ট্রাফিক ও কাস্টমস্ কখনো এড়াতে পারে না।
মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, গাড়িটি বন্দর থেকে কে বা কারা ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। কিš‘ ওই গাড়ির শুল্কবিষয়ক কোনো কাগজপত্র কাস্টমসে জমা হয়নি। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফার“ক হাসান জানান, এ ঘটনার পর থেকে বন্দরের নিরাপত্তা ব্যব¯’া আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও একই কায়দায় একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি ও বছর দুয়েক আগে জেটির অভ্যন্তরের ইয়ার্ড থেকে কন্টেইনারের তালা ভেঙে কোটি টাকার কাপড় লোপাটের ঘটনা ঘটে মোংলা বন্দরে। এ ছাড়া গত সপ্তাহে বন্দর জেটি থেকে আরও একটি কন্টেইনার গেট থেকে বাইরে বের করে তা লোপাটের চেষ্টা চালায় সংঘবদ্ধ চক্র। পরে তা বন্দরের নিরাপত্তা সদস্যদের নজরে এলে ভুলক্রমে হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা মুচলেকা দিয়ে পার পেয়ে যায়।