মোংলায় ফাদার মারিনো রিগনের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

0
776

মোংলা প্রতিনিধি, খুলনা টাইমস:
মোংলায় ইতালিয় খ্রীষ্ট ধর্মযাজক ও ভিনদেশী বাঙ্গালী বন্ধু ফাদার মারিনো রিগনের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে শেহলাবুনিয়ার সেন্ট পলস ক্যাথলিক মিশন হল রুমে আয়োজিত শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা ধর্ম প্রদেশের বিশপ রমেন বৈরাগী।
শেহলাবুনিয়া ধর্ম পল্লীর পালক পুরোহিত ফাদার জন ললিত বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভার আলোচনায় আরো উপস্থিত ছিলেন খুলনার ডিসি ডিবি এস,এম কামরুল ইসলাম, মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র মো: জুলফিকার আলী, সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ফ্রান্সিস সুদান হালদার ও ফাদার রিগন শিক্ষা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুবাস চন্দ্র বিশ্বাস। রিগনের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে আলোচনা সভার শুরুতেই এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ফাদার মারিনো রিগন ছিলেন বহুমাত্রিক উন্নয়নের ধারক-বাহক। তিনি তার নিজ হাতেই মিশনারী ছাড়াও এখানে ১৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। শিক্ষায় পিছিয়ে পড়া মেয়েদের নিজ উদ্যোগে সম্পৃক্ত করে এ এলাকার নারীদেরকে শিক্ষিত ও স্বাভলম্বী করে গড়ে তুলেছিলেন। তার কাজ কর্মের সুফল এখানকার নারী-পুরুষসহ সকল ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গের লোকজন ভোগ করছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তার অসামান্য অবদানের জন্য তিনি এদেশের নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন। এদেশে শুধু ধর্মযাজক হিসেবেই নয়, তিনি অবদান রেখেছেন বাংলা সাহিত্যি চর্চায় এবং কাজ কর্মে প্রমাণ করে গেছেন তিনি ভিনদেশী হলেও মনে প্রাণে বাঙ্গালীর বন্ধু। এর আগে সকাল ৯টায় সেন্ট পলস ক্যাথলিক চার্চের ভক্তরা ফাদার রিগনের আত্মার শান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করেন।
উল্লেখ্য, ফাদার মারিনো রিগন গত ২০ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ইতালির ভেনেতো প্রদেশের ভিসেঞ্জা জেলার ভিল্লাভেরলা গ্রামের নিজ বাড়ীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সেখানেই তাকে সমাহিত করা হয়েছে। ১৯২৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারীতে ফাদার মারিনো রিগনের জন্ম। আর বাংলাদেশে তিনি এসেছিলেন ১৯৫৩ সালের জানুয়ারী মাসে। ধর্ম প্রচার ও মানুষের সেবায় দীর্ঘ ৬২/৬৩ বছর ধরে কাজ করেছেন এদেশে। তার জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটিয়েছিলেন মোংলায় শেহলাবুনিয়া গ্রামে। ইচ্ছাও ছিল শেহলাবুনিয়ার মাটিতে তার শেষ সমাহিতের। কিন্তু পরিবারের ভালবাসা ও ইচ্ছার কারণে তার শেষ ইচ্ছাটুকু অপূরণ রয়ে গেছে। #