মুস্তাফিজের মতো কাঁধের চোটে মিরাজ

0
541

ক্রীড়া প্রতিবেদক
যে ধরনের কাঁধের চোটে অস্ত্রোপচারের টেবিলে যেতে হয়েছিল মুস্তাফিজুর রহমানকে, অনেকটা একই রকম চোট ছোবল দিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজের কাঁধে। বিসিবির চিকিৎসকরা কাটিয়ে ওঠার পথও বাদলে দিয়েছেন একই। প্রথমে চেষ্টা করা হবে অস্ত্রোপচার না করেই সারিয়ে তোলার।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পর সতীর্থরা বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) খেলা শুরু করলেও মিরাজ আপাতত নিয়মিত মুখ বিসিবির চিকিৎসকের কক্ষে। নিয়ম করে চলছে তার চিকিৎসা। বিসিবির প্রধান চিকিৎস দেবাশীষ চৌধুরী জানালেন, এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের কাঁধের পুরোনো চোটই হানা দিয়েছে আবার।
“ডান কাঁধের এই ইনজুরি অনূর্ধ্ব-১৯ দলে খেলার সময় থেকেই ওকে ভোগাচ্ছে। চিকিৎসাও হয়েছে। তবে মোটামুটি ম্যানেজেবল অবস্থায় ছিল। সম্প্রতি ওর থ্রোয়িংয়ে সমস্যা হচ্ছিল। আমরা এমআরএই করিয়েছি, তাতে ওর ল্যাবরাল টিয়ার ধরা পড়েছে।”
“আমরা কনজারভেটিভ উপায়ে চেষ্টা করছি ম্যানেজ করার জন্য। আগামী দেড় থেকে দুই মাস চেষ্টা করব ইনজেকশন অথবা ফিজিওথেরাপি দিয়ে ম্যানেজ করতে। এরপরও ব্যথা না কমলে, সমস্যা থেকে গেলে পরবর্তীতে অপারেশনে যেতে হবে।”
“মুস্তাফিজের যে ইনজুরিতে অপারেশন করতে হয়েছে, অনেকটা কাছাকাছি ধরনেরই ইনজুরি এটা। মুস্তাফিজের সময় কনজারভেটিভ উপায়ে চেষ্টা করেছিলাম। সফল না হওয়াতে পরে অপারেশন করাতে হয়। মিরাজেরও আগে কনজারভেটিভ উপায়ে চেষ্টা করব। এরপর বোঝা যাবে অপারেশন লাগবে কিনা।”
“মিরাজের ব্যাটিংয়ের সমস্যা হচ্ছে না। মূল সমস্যা থ্রোয়িংয়ে। বোলিংও করতে পারছে। তবে প্রথম দিকে দুই-তিন ওভার ধুঁকছে। পরে শরীর গরম হলে ব্যথা কমে আসছে। এই পর্যায়ের ক্রিকেটে এ রকম ইনজুরি নিয়ে চলা মুশকিল। আমরা চেষ্টা করব পুরোপুরি ঠিক করে তুলতে। কনজারভেটিভ উপায়ে কাজ না হলে দেড়-দুই মাস পর অবশ্যই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”
‘কনজারভেটিভ’ পথটা কেমন, সেটির একটি ধারণাও দিলেন বিসিবির প্রধান চিকিৎসক।
“শিগগিরই ওকে ‘পিআরপি (প্লাটিলেট রিচ প্লাজমা)’ ইনজেকশন দেওয়া হবে। এই ইনজেকশন দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করতে হবে। এটার ফল পেতে দেড় থেকে দুই মাস অপেক্ষা করতে হবে। আমরা এরপরই জানতে পারব যে কনজারভেটিভ পথে কতটা সফল হতে পারছি।”
বয়সভিত্তিক দলগুলি থেকেই প্রচুর ক্রিকেট খেলে আসছেন মিরাজ। বয়স এখন মাত্র ২০ হলেও ম্যাচ খেলেছেন অনেক। আন্তর্জাতিক আঙিনায় পা রাখার পরও তার কাঁধের ওপর দিয়ে ধকল গিয়েছে অনেক। ১২ টেস্ট খেলেছেন, প্রতি টেস্টে বল করেছেন গড়ে প্রায় ৪৬ ওভার। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ২৫ ম্যাচেই বল করেছেন এক হাজারের বেশি ওভার।