মালির হামলায় দায় স্বীকার ইসলামিক স্টেটের

0
314

খুলনাটাইমস বিদেশ: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির উত্তরাঞ্চলে সেনাবাহিনীর একটি অবস্থানে হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। শুক্রবার দেশটির মেনাকা অঞ্চলের ইন্দেলিমানে এ হামলায় ৫৩ সেনা সদস্য ও এক বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে বলে দেশটির সরকার জানিয়েছে। শনিবার আইএসের বার্তা সংস্থা আমাক কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ ছাড়াই আইএসের দায় স্বীকারের প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে। ২৭ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্সেস আইএসের পূর্ববর্তী নেতা আবু বকর আল বাগদাদিকে হত্যার পর থেকে বেশ কয়েকটি দেশে চালানো বহু হামলার দায় স্বীকার করে পোস্ট দিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠীটি। সাম্প্রতিক সময়ে মালির সামরিক বাহিনীর ওপর জঙ্গিদের চালানো সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা এটি। শনিবার মালির সরকারের মুখপাত্র ইয়াইয়া সানগারে রয়টার্সকে বলেছেন, “দুপুরের দিকে ব্যাপক অস্ত্রে সজ্জিত অজ্ঞাত ব্যক্তিরা হামলা চালায়। গোলাবর্ষণের মাধ্যমে হামলাটি শুরু হয়। হামলার পর তারা নাইজারের দিকে চলে যায়।” এর আগে একইদিন টুইটারে তিনি বলেন, “সেখানে পাঠানো অতিরিক্ত সৈন্যরা গিয়ে এক বেসামরিকসহ ৫৪ জনের মৃতদেহ পায়, ১০ জন বেঁচে ছিলেন আর বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখযোগ্য ছিল।” ফ্রান্স জানিয়েছে, সেখানে থাকা তাদের এক সৈন্য নিহত হয়েছেন। একটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস তার গাড়িতে আঘাত হানায় তিনি নিহত হন বলে দেশটির প্রেসিডেন্টের দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। মালিতে ফরাসী সেনা ও আন্তর্জাতিক শান্তি বাহিনীর উপস্থিতি সত্ত্বেও সাম্প্রতিক মাসগুলোতে জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোর তৎপরতা বেড়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষে দেশটির দুটি সামরিক ঘাঁটিতে সমন্বিত হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা আরও ৩৮ সেনাকে হত্যা করেছিল। সরকারি বাহিনী সেবার জঙ্গিদের কাছে ওই দুটি সেনাঘাঁটির নিয়ন্ত্রণও হারিয়েছিল। হামলাটির রেশ কাটতে না কাটতেই এবার উত্তরাঞ্চলে আরও বড় হামলা হল। পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটিতে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গিসংগঠন আল কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের শক্ত ঘাঁটি আছে। এসব ঘাঁটি থেকেই মূলত সাহেল অঞ্চলে জঙ্গিরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের। এশিয়া বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে আল কায়েদা ও আইএসের শক্তিক্ষয়ের মধ্যেই আফ্রিকায় তাদের সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর এ উত্থান মহাদেশটির বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠছে।