মহিউদ্দিনের কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু

0
341

টাইমস ডেস্ক : চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানিতে পদদলিত হয়ে ১০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আহত রয়েছেন শতাধিক। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার দুপুরে নগরীর আসকার দীঘির পাড়ে অবস্থিত রিমা কমিউনিটি সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ১০ জনের মৃতদেহ আনা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান তিনি।

নিহতরা হলেন ঝন্টু দাশ (৪৬), সুধির দে (৪৩), কৃঞ্চ প্রসাদ (৩৮), প্রদীপ তালুকদার (৪৬), লিটন দেব (৩৯),টিটো (৩৬), অলক ভৌমিক (৪৪), দীপঙ্কর (৪৬), রাহুল দাস (৩৪), ধনা শীল (৪৭)।

গত শুক্রবার ভোরে চট্টগ্রাম মহানগরীর বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালে মারা যান চট্টগ্রামের বর্ষীয়ান নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরী। ওইদিন বিকালে নগরীর লালদীঘি ময়দানে জানাজা শেষে চশমা হিলস্থ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

আজ সোমবার ছিল প্রয়াত এই নেতার কুলখানি। এ উপলক্ষে চশমা হিলের বাসভবনসহ নগরীর ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে পরিবারের পক্ষ থেকে আয়োজন করা হয় মেজবানি। এর মধ্যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানসহ অমুসলিমদের জন্য নগরীর রিমা কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানির আয়োজন করা হয়।

রিমা কমিউনিটি সেন্টারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত খুলশি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রহিম জানান, দুপুর একটা থেকে কমিউনিটি সেন্টারে মেজবান খেতে আসা লোকজনের ভিড় জমে। কার আগে কে খেতে ঢুকবেন তা নিয়ে হুড়াহুড়ি করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আবদুর রহিম বলেন, কমিউনিটি সেন্টারটির প্রবেশ পথ সরু ও নিচু। প্রবেশ পথে হুড়োহুড়ি সামলাতে গিয়ে কয়েকজন পুলিশ সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক আহত হয়েছেন। তবুও আগত লোকজনকে সরিয়ে নিতে-নিতে পদদলিত হয়ে ঘটনাস্থলে কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পরে আরও পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সেখানে দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবক অনুপ দাস জানান, কমিউনিটি ক্লিনিকটির বাইরে ছিল অনেক মানুষের ভিড়। আর সেখানে প্রবেশের পথটি ছিল ঢালু। ভেতরে প্রবেশের সময় পেছনের লোকদের চাপে ঢালু জায়গায় থাকা বেশ কয়েকজন পড়ে যান। তাদের ওপর দিয়েই পেছনের লোকজন হুড়মুড় করে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। ফলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতদের বেশিরভাগই হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। তাদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে। আহত শতাধিক লোককে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।