মহানগরীতে মাস্টার্স পরীক্ষার্থী বধূকে হত্যার অভিযোগ

0
1826

নিজস্ব প্রতিবেদক : খুলনা মহানগরীতে মাস্টার্স পরীক্ষার্থী এক নববধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ এ ব্যাপারে নিশ্চিত নন। তবে স্বামীর কারণেই তার মৃর্ত্যু ঘটেছে, তা নিশ্চিত করে কেএমপি’র সদর থানা অফিসার ইনচার্জ হুমায়ূন কবির দৈনিক খুলনা টাইমসকে বলেন, ইতোমধ্যে অভিযুক্ত স্বামী জোবায়ের সিদ্দিকিকে আটক করা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদও চলছে। তদন্ত সম্পন্ন না হলে নিশ্চিত করা যাবে না এটি হত্যা না-কি আত্মহত্যা।
নিহতের বড় ভাই কাজী কামরুল ইসলাম দৈনিক খুলনা টাইমস’র কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানান, গতকাল শুক্রবার ১২টা ১০ মিনিটে তার বোন (মার্জিয়া আক্তার মুক্তা) ফোন করে মেঝ বোনকে। এসময় সে জানায় তার স্বামী জোবায়ের তাকে খুব মারধর করছে এবং তাকে নিয়ে যেতে বলে। নইলে সে চিরতরে মেরে ফেলবে। এর মাত্র ১৫/২০ মিনিট পর স্বপরিবারে তারা গিয়ে দেখেন বোনের লাশ।
কামরুল আরও বলেন, গত ৪/৫মাস ধরে মুক্তা তার স্বামীকে নিয়ে টুটপাড়া বসবাস করছেন। তাদের বিয়ের বস প্রায় ৭মাস। প্রেমঘটিত কারণেই তার পছন্দ করে এক অপরকে বিয়ে করে। এর আগে তার পরিবারের লোকজন বাগেরহাটের এক ছেলের সাথে বিয়ে দেন মুক্তাকে। খুলনা সরকারি মহিলা কলেজে ইংরেজিতে মাস্টার্স করার কারণে টুটপাড়ায় ইউনিক কোচিং পড়া শুরু করেন। জোবায়ের সেখানে শিক্ষকতা করতেন। বিবাহিত হওয়া স্বত্তে¡ও জোবায়ের ফুসলিয়ে তার বোনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন এবং স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ করাতে বাধ্য করান। এই পর্যন্ত মুক্তা সবকিছু গোপন রাখেন পরিবারের কাছে।
এরপর কোচিং এর পাশে এক বাসা নিয়ে গত ৪/৫ মাস আগে তারা বসবাস শুরু করলে বিষয়টি সবার নজরে আসে। তবে প্রায়ই মুক্তা তার বোনদের কাছে অভিযোগ করে আসছে তা উপর অত্যাচার করা হয়। উল্লেখ্য, নিহত মুক্তা নগরীর নাজিরঘাট এলাকার কাজী লুৎফর রহমানের মেয়ে এবং আটক জোবায়ের হাজী মহসিন রোডের আবু বক্করের ছেলে।