মংলা বন্দরে ৩ নম্বর সংকেত : ব্যাহত হচ্ছে জাহাজের পন্য ওঠা-নামার কাজ ব্যাহত

0
586

মংলা প্রতিনিধি : মংলা বন্দরে দুর্যোগ পুর্ন আবহাওয়া আর মৌসুমী গভিরনি¤œচাপের কারনে বঙ্গোপসাগর উত্তাল। উপকুল জুড়ে বইতে শুরু করেছে ঝড়ো হাওয়া। বঙ্গোপসাগরের প্রচন্ড ঢেউয়ের তোড়ে টিকতে পারছেনা জেলেরা। বন্দরের বানিজ্যিক জাহাজ গুলোতে ব্যাহত হচ্ছে খালাস-বোঝাইয়ের কাজ। মংলাসহ এলাকার উপকূলাঞ্চলের মংলায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়ার সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি। মংলা বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। মংলা বন্দরে বর্তমানে ১৪টি দেশী-বিদেশী বানিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। যার মধ্যে একটি খাদ্যবাহী গম ও ২টি সারবাহী জাহাজ রয়েছে। ভারিবৃস্টিপাতের কারনে এ জাহাজের গম ও সার খালাশ করতে পারছেনা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

এদিকে সুন্দরবনসহ বঙ্গোপসাগরে ইলিশ মাছ ধরা নৌকা ও ট্রলার সমুহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশ-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে এই গভির নি¤œচাপের কারনে বুধবার সন্ধা থেকে বঙ্গোপসাগরে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় প্রবল ঢেউয়ের কারনে বঙ্গোপসাগরে ইলিশ আহরণে নিয়োজিত জেলেরা সাগরে জাল ফেলতে না পেরে ফিরছে নিরাপদ আশ্রয়ে। শত শত ফিশিং ট্রলার সুন্দরবনসহ উপকূলীয় বিভিন্ন নদী ও খালে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে।

বনবিভাগ ও দুবলা ফিসারম্যান গ্রুপের সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন এতথ্য জানায়। মংলা মৎসজীবি সমিতির সভাপতি অলিউর রহমান ও মৎস্য ব্যাবসায়ী মোঃ লোকমান হোসেন জানান, বঙ্গোপসাগর উত্তাল হওয়ার কারনে ইলিশ জেলেরা মাছ ধরতে পারছেনা। আশ্রায় নিয়েছে বনের বিভিন্ন খালে। তারা আরও জানান, ইলিশ মৌসুমে একদিকে সাগরে দস্যুদের উৎপাত আর অন্যদিকে দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়ার ফলে সাগর উত্তল রয়েছে।

অন্যদিকে কয়েক দফা বৈরী আবহাওয়ায় সাগরে জাল ফেলতে না পেরে মহাজন ও জেলেরা হতাশায় পড়েছেন। পূর্ব সুন্দরবনের চাদপাই রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ শাহিন কবির জানান, দুর্যোগপুর্ন আবহাওয়া আর ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে দুবলার চর, নারকেলবাড়িয়া, অফিস কেল্লা, আলোর কোল ও সুন্দরবনের পশুর নদীসহ বনের ছোট ছোট খালে আশ্রায় নিয়েছে এসব ক্ষতিগ্রস্থ জেলেরা। গত ২৪ ঘন্টা যাবত সাগরে জাল ফেরতে না পেরে অলস সময় কাটছে তারা। এছাড়াও যারা সাগর উপকুলে ইলিশ মাছ ধরছিল তারা গতকাল সকাল থেকে খালীহাতে ফিড়ে আসতে শুরু করেছে। সাগর থেকে মংলা নদী হয়ে এ পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক ফিশিং ট্রলার ফিড়ে আসতে দেখা গেছে।