বড়দলে কোন ভাবে থামছে না কাট পুড়িয়ে কয়লা তৈরির মহোৎসব

0
339

মইনুল ইসলাম,আশাশুনি:
আশাশুনি উপজেলার বাণিজ্য ভান্ডার নামে পরিচিত বড়দলে ঘনবসতী এলাকায় পরিবেশ নষ্ট করে আইনকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে অবৈধভাবে চলছে কাট পুড়িয়ে কয়লা তৈরীর মহোৎসব। এ বিষয়ে ৩০ সেপ্টে_ম্বর বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় স্ব-চিত্র সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর কয়েকদিন বন্ধ রাখলেও আবারও শুরু করেছে কাট পুড়িয়ে কয়লা তৈরি কাজ। এনিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে আলোচনা-সমালোচনা ঝড় বইছে। জনমনে প্রশ্ন, একেএস বিক্স এর মালিকের খুঁটির জোর কোথায়? জানাগেছে, সুন্দরবন থেকে আসা চোরাই কাঠ ও স্থানীয় গাছ গাছালী ধ্বংস করে কয়লা তৈরির মহোৎসবে মেতে উঠেছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বড়দল টু খাজরা সড়কের প্রতিমধ্যে একেএস বিক্স চত্বরে ভাটা মালিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে পরিবেশ নষ্ট করে কাট পুড়িয়ে কয়লা তৈরী করছেন। সেখানে ৫টি চুল্লীর মাধ্যমে জ্বালানী কাঠ পুড়িয়ে কয়লায় রূপান্তরীত করা হচ্ছে। প্রতিদিন শত শত মণ কাঠ আগুনে পুড়িয়ে কয়লা তৈরী করা হচ্ছে। আর সেই কাঠ পোড়ানোর ধোঁয়া ও ছাই ছড়িয়ে পড়ছে আস-পাশের এলাকাগুলোতে। কয়লা তৈরীর সময় আগুনের কালো ধোঁয়ার কুন্ডলীতে উক্ত সড়কে চলাচলরত যানবাহন ও পথচারীদের ব্যাপক দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ পথচারীদের। এছাড়া কালো ধোঁয়ার কুন্ডলী ঘনবসতী এলাকায় প্রবেশ করে পরিবেশ নষ্ট করছে বলে জানান এলাকাবাসীর। পোড়া কাঠের ঝাঝালো গন্ধ ও কালো ধোঁয়া মানবদেহে প্রবেশ করে শ্বাস কষ্টসহ নানা রকম অসুখে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিরা। আর এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে জনজীবন ও সবুজ গাছপালা। ভুক্তভুগীরা জানায় দিনের চেয়ে রাতের বেলায় বেশিই কাঠ পোড়ার ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামগুলোতে। গ্রামটিতে ঢুকতেই কাঠ পোড়ার গন্ধে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হতে দেখা গেছে। এমতাবস্থায় উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।