লাখ লাখ মুসল্লির অংশগ্রহণে শুরু হওয়া মাহফিলে উদ্বোধনী বয়ান করেন চরমোনাই পীর আলহাজ্ব হয।রত মাওলানা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
চরমোনাই মাহফিলে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিদের আগমন ঘটেছে। দেশের বাইরে থেকেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন।
মাহফিলে চরমোনাই পীর, চরমোনাই তরিকার খলিফা ও দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় আলেমরা মূল্যবান আলোচনা পেশ করবেন।
চরমোনাই মাহফিলে এ বছর পানির ব্যবস্থা উন্নত হয়েছে ও টয়লেটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিবারের মতো অস্থায়ী হাসতাপাল স্থাপন করা হয়েছে। আর্থিক নিরাপত্তার জন্য ব্যাংকের শাখা খোলা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিচ্ছে।
উদ্বোধনী বয়ানে দেশ ও জাতির শান্তি কামনা করে পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, শুধু মাহফিলে আসলেই হবে না, সার্বক্ষণিক জিকিরে-ফিকিরে আল্লাহকে স্মরণ করতে হবে। আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে হলে সবার আগে ঈমানকে মজবুত করতে হবে। কলবে আল্লাহর জিকির ধারণ করতে হবে। দুনিয়ার আরাম-আয়েশ ভুলে গিয়ে জিকির এবং ঈমানের সঙ্গে চলাফেরা করলে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভ সম্ভব বলে স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।
মাহফিলের কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় দারুল উলুম দেওবন্দ ও মালয়েশিয়ার উচ্চ পর্যায়ের বেশ কয়েকজন আলেম ও অংশগ্রহণ করেন।
আগামী শনিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বাদ ফজর পীর সাহেবের বিদায়ী বয়ানের পর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের মাহফিলের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটবে।