বঙ্গোপসাগরে মাছ শিকারে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় দক্ষিণাঞ্চলে হাজার হাজার জেলে বেকার

0
291

শরণখোলা প্রতিনিধি:
বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞায় দক্ষিণাঞ্চলে হাজার হাজার জেলে বেকার হয়ে অর্থকষ্টে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন। অন্যদিকে ভরা মৌশুমে সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৎস্যজীবিরা।
বরগুনা জেলা ফিসিং ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫টি দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। এই নিষেধাজ্ঞার যৌক্তিক কোন কারণ নেই। ইলিশের জালে অন্য কোন মাছ ধরা পড়েনা। বর্তমানে ইলিশের ভরা মওশুম। এ সময় মৎস্যঘাট সমূহে মাছ কেনাবেচায় সরগরম থাকার কথা সেখানে এখন চলছে সুনসান নীরবতা। ঘাটে সারি সারি ফিসিংবোট নোঙর করে বাধা। হাজার হাজার জেলে বেকার হয়ে অর্থকষ্টেপড়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেক জেলে পরিবারে দুইবেলা রান্নাবান্না হয়না বলে তিনি জানান। সরকারের অযৌক্তিক সিদ্ধান্তে জেলেদের মাঝে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তিনি আরো বলেন, ভারতের সাথে একত্রে সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হলে উভয় দেশের জেলে ও মহাজনরা লাভবান হতো।
দুবলা ফিসারমেন গ্রুপের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর রহমান শামিম বলেন, সাগরে মাছ ধরায় সরকারের নিষেধাজ্ঞার অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তে দেশীয় গরীব জেলেরা মাছ ধরতে পারবেনা কিন্তু ভারতীয় জেলেরা আমাদের সাগর থেকে ঠিকই মাছ ধরে নিয়ে যাবে। সাগরে তো কাঁটা তারের বেড়া নেই যে, আমাদের জলসীমায় ভারতীয় জেলেরা মাছ ধরতে পারবেনা বলে তিনি মন্তব্য করেন।
পাথরঘাটার জেলে মিজানুর রহমান পিন্টু বলেন, আমরা জেলেরা এখন অনেক কষ্টে আছি। ইলিশ আহরণের মৌসুম হিসেবে ১৫ বৈশাখ থেকেই জেলেদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় বঙ্গোপসাগরে। কিন্তু তাদের সেই যাত্রা এখন শঙ্কায় পরিনত হয়েছে। এখন সাগরে মাছ ধরতে না পেরে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার জেলে বেকার হয়ে অর্ধাহার অনাহারে দিন কাটাচ্ছে ।
এ ব্যপারে শরণখোলা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বলেন, মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির জন্য সাগরে সরকার মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিলেও জেলেদের খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ শুরু করা হয়েছে।