ফকিরহাট কারামতিয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলা

0
293

বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের ফকিরহাটে কারামতিয়া মাদ্রাসার ও লিল্লাহ বোডিং এর সাবেক অধ্যাক্ষ আ ন ম ইউনুছ আলী মোল্লার কাছে গত ১৪ বছরের যাবতীয় হিসাব চাওয়ায় বর্তমান অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। আর বিষয়টি এমন সাবেক অধ্যাক্ষ নিজে বাদী না হয়ে এলাকায় মামলাবাজ হিসেবে পরিচিতি আট্টাকী গ্রামের মোল্লা আনিছুর রহমান বাদী হয়ে গত ৩০ জুলাই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে মিথ্যা ও হয়রানি মূলক একটি মামলা দায়ের করে।
মামলায় উলেখ্য করা হয়েছে ছাত্রদের ভরন পোষন বাবদ মিথ্যা ভাউচার বানিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ১,১৯,২৫০ টাকা বরাদ্দ করাইয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে সোনালী ব্যাংক ফকিরহাট শাখায় জমা করে পরবর্তিতে ভুয়া ভাউচার তৈরি করে উক্ত জমাকৃত টাকা হতে অর্থ উত্তলন করে অত্বসাৎ করে আসছে।
ভূক্তভুগী মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান ফকিরহাট উপজেলা প্রেসক্লাবে উপস্থি হয়ে সাংবাদিকদের সহোযোগীতা কামনা করে বলেন, সাবেক অধ্যাক্ষ ইউনুছ আলী ২০১৫ সাল হতে-২০১৮সালের ২৮ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত্য াধ্যাক্ষের দায়ীত্ব পালন করেন। এর পর আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষের দায়ীত্ব ভার গ্রহন করে মৌখিক ভাবে তার এই এ দীর্ঘ সময়ে হিসাব চাইলে তিনি কোন হিসাব দিতে রাজী হয় না। এই ১৫ মাস ধরে হিসাব বুঝাইয়া দিতে বলে ব্যার্থ হয়ে অবশেষে গত ২০-০৭-২০১৯ তারিখে অধ্যাক্ষ আনম ইউনুছ আলী মোল্লাকে ১৫ কার্য্য দিবস মধ্যে এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের আয় ব্যায়ের যাবতীয় হিসাব নিকাশ এবং প্রতিষ্ঠানের সকল প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমার কাছে বুঝাইয়া দেবার জন্য লিখিণ নোটিশ প্রদান করি। মাদ্রাসা ও ল্লিা বোডিং এর অর্থ আত্বসাতে লক্ষ্যে পরিকল্পিত ভাবে তার একান্ত বন্ধু ও আস্থাভাজন আনিসুর রহমান মোল্লাকে দিয়ে আদালতে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। তিনি আরো বলেন তাদের দায়ের করা মিথ্যা মামলায় যে টাকা আত্বসাতের কথা বলা হয়েছে, বর্তমান ওই অ্যাকাউন্টে তার বেশী টাকা স্থিতী আছে বলে ব্যাংকের শিকারোক্তি (ষ্টেটমেন্ট) আছে। এবং এরও প্রমান আছে যে, সাবেক ওই অধ্যাক্ষ ২৮-০২-২০১৮ তে অবসরে গিয়ে ২৯-০৩-২০১৮ তারিখে মাদ্রাসা ও লিল্লা বোডিং এর ফকিহাট সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা উত্তোলন করে তার ও প্রামণ আছে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা ও লিল্লা বোডিং এরাকায় খোজ খবর নিয়ে জানা গেছে অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান দায়ীত্বভার গ্রহনের পর থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে অত্যান্ত সততা ও সুনামের সহিত কার্য্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। উল্লেখ্য ১১৯২৫০ টাকা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে গ্রহন তার সাথে আরও অন্যান্য ফান্ড থেকে প্রাপ্ত অর্থ একত্রে করে পুরা টাকাটা ব্যাংকে জমা আছে তাহলে আত্বসাত হলো কি করে এমন প্রশ্ন এলাকার সুশীল সামাজের।