প্রশাসনের সর্বত্র এমন প্রশাসকই চাই”

0
518

সুমন আহমেদ : জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে থাকেন প্রশাসনে কর্মরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। করেন জরিমানা, দেন কারাদণ্ড। দন্ড প্রদান শেষে চলে যান। তবে অনিয়ম ও বিশৃংখলার বেড়াজালে আবদ্ধ মানুষগুলোকে শুধড়ে চলার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করানোর ঘটনা, শুধু বিরলই নয়, দৃষ্টান্ত স্থাপনই বটে।

তেমনি ব্যত্যয় ঘটিয়ে দিনভর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করলেন দিনাজপুর জেলার দুই উপজেলার দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মশিউর রহমান। এরপর স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে, ‘আসুন সুন্দর দেশ গড়ি’-আহবান জানালে তারাও প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

প্রশাসক হয়েও জনসেবায় নিজেকে রীতিমতো উৎসর্গ করেছেন এই ইউএনও। ইতোমধ্যে তার জনকল্যাণকর কর্মকাণ্ড নবাবগঞ্জ ও বিরামপুর বাসীর প্রশংসা কুড়িয়েছে। পাশাপাশি অপরাধীদের দৃষ্টিভংগী পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় বাসিন্দা, পথচারী, শিক্ষার্থীদের মন্তব্যে এই তথ্য বেরিয়ে আসে। একযোগে সকলের প্রত্যাশা, “প্রশাসনের সর্বত্র এমন প্রশাসকই চাই”।

ইউএনও মশিউর রহমান এভাবেই খুলনা ও রাজশাহী বিভাগের নানা জেলায় প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেছেন সুনামের সাথে। বারংবার হয়েছেন সংবাদের শিরোনাম। প্রতিবারের ন্যয় এবারও তেমনি তার একখন্ড ইতিবাচক ভূমিকা তুলে ধরা হলো খুলনাটাইমস’র পাঠকদের জন্য।

এই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনস্বার্থে দিনভর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার ডাংকবালা মোড় ও দাউদপুর বাজারে সড়কের দুই পার্শ্বে। এসময় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ভ্যান চালিত যানবাহনে ক্ষতিকার লাইট অপসারণ, যানবাহনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকা ও মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট ব্যবহার না করা এবং তামাকজাত পন্যের অবৈধ প্রচারনা বন্ধে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ ও জরিমানা আদায় করা হয়।

দিনটি ২ সেপ্টেম্বর রবিবার। বেলা ১১ টায় শুরু হয় অভিযান। ডাকবাংলা মোড়ে সিগারেট বিক্রির পাঁচটি দোকানের সামনে তামাকজাত পন্যের অবৈধ প্রচারনা তুলে পুড়িয়ে দেয়া হয়। সড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়াও রিক্সা ভ্যানে ক্ষতিকারক লাইট অপসারণ করা হয়।

এরপর বিকেল ৫ টায় দাউদপুর বাজারে একই অভিযান পরিচালনা করা হয়। একটি ট্রাকের ড্রাইভারের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ তার গাড়ির কোন কাগজপত্র না থাকায় এবং উক্ত ট্রাকটি মোবাইল কোর্টের সিগন্যাল অমান্য করে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করায় ড্রাইভারকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

এরপর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিরামপুরে রিক্সা, ভ্যান, ঈজিবাইক, মোটরসাইকেল ও অন্যান্য বাহন থেকে ক্ষতিকর এলইডি বাতি খোলা হয়। বিরামপুর রেলক্রসিং পার হয়ে নবাবগঞ্জের দিকে অবস্থিত রাস্তার দুইপাশের অবৈধ স্থাপনা সরানোর বিষয়ে বনিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বনিকরা কথা দিয়েছেন আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তারা দোকানের সামনের অংশ স্বেচ্ছায় সরিয়ে নেবেন।

 

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট এর খন্ডাংশ।

 

 

বৃক্ষ রোপণ করছেন, সাথে হাওড় এলাকার বাসিন্দারা।