পাইকগাছায় অপহরন মামলায় জেলহাজতে ৩

0
305

পাইকগাছা প্রতিনিধি: পাইকগাছায় আদালত অপহরণ মামলার ৩ আসামী জেলহাজতে প্রেরন ও ইউপি চেয়ারম্যানের চেষ্টায় এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমতিকে কাকাদের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। এদিকে মানুষ গড়ার কারিগর প্রধান শিক্ষকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই? পাইকগাছা থানায় নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলার বাদী গড়ইখালী ইউপির নুরপুর আমিরপুরের আবুল কালাম সানার স্ত্রী রুমা বিবি এজাহারে উল্লেখ করেছেন এ মামলার আসামীদের স্বভাব চরিত্র ভাল না। তার মেয়ে রিয়া খড়িয়া মামার বাড়ী থেকে লস্কর ইউনিয়নের খড়িয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করে এবং সে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিতব্য এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করবে। মায়ের অভিযোগ স্কুলে যাতায়াত পথে অনেক সময় মামলার ১নং আসামী খুলনার লবন চোরার জিন্নাহপাড়ার পলাশের ছেলে নাঈম অরিয়ান (১৮) অন্যদের সহযোগিতায় মেয়েকে কুপ্রস্তাব ও নানা প্রলোভন দেখাত। শেষ পর্যন্ত নাঈম গংরা গত ৯ ডিসেম্বর যোগসাজসে রিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় রিয়ার মা রুমা বিবি ১৮ জানুয়ারী ২০২০ তারিখে বাদী হয়ে নাঈমকে ১নং আসামী করে মামলা করে। মামলাভুক্ত অন্যরা হলো কুমখালীর ইসমাইল ঢালীর ছেলে মমিনুর (২৪), সুশান্ত মন্ডলের ছেলে সুমেন্দু সাহেব (২২), কয়রা ভাগবার ভগিরথের ছেলে অমিয় সরকার (২৩), নাইমের ফুফা আলমগীর ও খড়িয়া মিনহাজ চকের হত দরিদ্র গনেশ মন্ডলের মেয়ে একই বিদ্যালয়ের ছাত্রী এসএসসি পরীক্ষার্থী সুমতি মন্ডল (১৯)। থানার সেকেন্ড অফিসার নিমাই রায় অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় মমিনুর, সুমেন্দু,অমিয় ও সুমতিকে আটক করে রবিবার সকালে পাইকগাছার সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরন করে। আদালত শুনানীন্তে ৩ জনকে জেল-হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র যাচাই করে সুমতির বয়স (১৬) শিশু হওয়ায় আদালত তাকে সমাজ সেবা দপ্তরে প্রেরন করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সুমতি যে বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সেই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক পরিতোষ কুমার হালদারের সাথে যোগাযোগ করে পরামর্শ বা সহযোগিতা চাইলে তিনি উল্টো ঐ ছাত্রীকে জেলে পাঠানোর কথা বলেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান কেএম আরিফুজ্জামান তুহিন বলেন, অসহায় মেয়েটির মা-বাবা ইটের ভাটায় কাজ করে এবং তারা বাড়ীতেও নেই। মানবিক কারণে আমারা সব ধরনের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেই। উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার সরদার আলী আহসান এ প্রতিনিধিকে বলেন, মেয়েটির প্রতিবেশী কাকা এড. সঞ্জয় মন্ডল ও সুকান্ত মন্ডলের জিম্মায় পাঠানোর কথা জানিয়েছেন।