পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের তোয়াক্কা না করে কুয়েট রোডে পুকুর ভরাটের পায়তারা

0
421

ফুলবাড়ীগেট (খুলনা) প্রতিনিধি: পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের তোয়াক্কা না করে কুয়েট রোড এলাকায় পুকুর ভরাটের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যোগীপোল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের এলাকাবাসী খুলনা পরিবেশ অধিদপ্তর সহ প্রসাশনের বিভিন্নœ দপ্তরে অভিযোগ পত্র দিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে খুলনার খানজাহান আলী থানার কুয়েট রোডের উভয় পাশ্বে বেগম রিজিয়া সরদার গংদের ১৪ বিঘা সম্পত্তি যার মধ্যে ৪টি পুকুর রয়েছে। তাদের উক্ত সম্পত্তি দির্ঘ্য ৫০ বৎসর যাবত এলাকার বরগা চাষী ও মৎস চাষীদের নিকট লিজ দিয়া আসছে। উক্ত পুকুর ৪টি এলাকার সাধারণ মানুষ গোসল, কাপড় ধোয়া ও রান্নার কাজে ব্যবহার করে আসছে। পুকুর গুলো ভরাট করলে এলাকার প্রায় ৪হাজার মানুষ গোসল ও রান্না করার পানির যেমন সংকট হবে তেমনি কুয়েট রোড সহ আশপাশ এলাকার জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হবে। এলক্ষে যোগীপোল ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড এলাকাবাসী পরিবেশ অধিদপ্তরে অভিযোগ দিলে পরিবেশ অধিদপ্তর ২০১৮ সালে ২৭ ডিসেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শন টিম ঘটনা স্থলে এসে পুকুর ভরাটের সকল কার্যক্রম ১০ জানুয়ারী ২০১৯ তারিখে বন্ধ করার নির্দেশ প্রদান করেন। তার পরেও পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০০২) ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা লংঘন করে ইতি মধ্যে ২টি পুকুর ভরাট করেছে। বাকি ২টি পুকুর ভরাট না করার লক্ষে পূণরায় পরিবেশ অধিদপ্তরের নিকট আবেদন করেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী উক্ত পুকুর ২টি যাতে ভরাট করতে না পারে সে লক্ষে সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন এবং যে ২টি পুকুর পরিবেশ অধিদপ্তরের আইন লংঘন করে ভরাট করা হয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির জোর দাবী জানান। এব্যপারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ সাইফুর রহমান খান এর নিকট বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এলাকাবাসীর অভিযোগের দরখাস্ত পেয়েছেন এবং উক্ত ৪টি পুকুর বর্তমান মাঠ জরিপে আছে কিনা সে ব্যপারে দরখাস্তকারীদের নিকট চাওয়া হয়েছে। মাঠ জরিপে পুকুর উল্লেখ থাকলে অবশ্যই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।