‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতা’ রিপোর্টিংয়ে খুলনার সাত সাংবাদিকের এ্যাওয়ার্ড লাভ

0
478

বিজ্ঞপ্তি: ‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতা’ রিপোর্টিংয়ে খুলনার সাত সাংবাদিক এ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন। কানাডা হাইকমিশন এর সহায়তায় সারাদেশে নিউজ নেটওয়ার্ক আয়োজিত ‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতা’ রিপোর্টিং প্রতিযোগিতায় তারা এ এ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।বুধবার সকালে খুলনা মহানগরীর ময়লাপোতা মোড়স্থ মুক্তি সেবা সংস্থার অডিটোরিয়ামে এক অনাঢ়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খুলনা প্রেসকাবের সাবেক সভাপতি দি ডেইলি ট্রিবিউনের সম্পাদক বেগম ফেরদৌসী আলী তাদের হাতে এ এ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।

 

পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক জয়নাল ফরাজী

 

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নিউজ নেটওয়ার্কের বিভাগীয় সমন্বয়কারী ইউএনবির ব্যুরো প্রধান শেখ দিদারুল আলম। এতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা কাবের পরিচালক ডা. মোস্তফা কামাল।

 

পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক কৌশিক দে

 

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেগম ফেরদৌসী আলী বলেন, ধর্মীয় সহিষ্ণুতা রিপোর্টিংয়ের উপর সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ এটি নতুন সংযোজন। যা সাংবাদিকদের মেধা মনন বিকাশে সহায়তা করবে এবং বিভিন্ন ধর্মীয় গোষ্ঠির মধ্যে সোহার্দ্য স্থাপনে বলিষ্ট ভুমিকা রাখবে।

 

পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোল্লা

 

ফেরদৌসী আলী বলেন, আমাদের সমাজে পিছিয়ে পড়া ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর কথা তুলে ধরে আমরা যেমন তাদের অধিকার রক্ষায় সচেতন হতে পারি, তেমনি ধর্ম নিয়ে যারা ব্যবসা করে তাদের হাত থেকে আমরা জাতিকে রক্ষা করতে পারি। তিনি বলেন, প্রত্যেক ধর্মের মূলমন্ত্র ন্যায়নীতি ও শান্তি। আজ যদি এই দুই মূলমন্ত্র সমাজে প্রতিষ্ঠা করা যায়। তাহলে সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয় হয় না। তিনি এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান।

 

পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মুহাম্মদ নুরুজ্জামান

 

সারাদেশে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগীয় যারা খুলনা থেকে এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তাদের মধ্যে দৈনিক সংগ্রামের খুলনা ব্যুরো প্রধান আব্দুর রাজ্জাক রানা (তার নির্বাচিত রিপোর্টের শিরোনাম ছিল-‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতা মানে, সংখ্যালঘুদের যথাযথ স্থান দেয়া’ ও ‘ধর্ম রক্ষার পথ নিয়ে নতুন করে ভাববার সময় এসেছে: ধর্ম মানব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ’), দৈনিক প্রবাহের সিনিয়র রিপোর্টার মুহাম্মদ নূরুজ্জামান (তার নির্বাচিত রিপোর্টের শিরোনাম ছিল-‘ধর্মীয় অনুভুতি কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগ, খুলনা শহরে সহস্রাধীক দান বাক্স, অর্থ কোথায় যায়, কে নেয়, জানে না কেউ’ এবং খুলনার কবি কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদারের মন্দিরের জমি অবৈধ দখলমুক্ত হয়নি’), ফ্রিন্যান্স সাংবাদিক সোনিয়া রহমান (তার নির্বাচিত রিপোর্টের শিরোনাম ছিল-‘ধর্মীয় সংবাদ পরিবেশনা: একজন সংবাদকর্মীর ভুমিকা’), দৈনিক খুলনাঞ্চলের কৌশিক দে বাপী (তার নির্বাচিত রিপোর্টের শিরোনাম ছিল-‘ধর্ম, সাম্প্রদায়িকতা, রাজনীতি ও সাংবাদিক’), বাংলা ট্রিবিউনের হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা (), ফ্রিন্যান্স সাংবাদিক শিমপা খাতুন (তার নির্বাচিত রিপোর্টের শিরোনাম ছিল-‘প্রয়োজন ধর্মীয় সহনশীলতা’), দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনের জয়নাল ফারাজী (তার নির্বাচিত রিপোর্টের শিরোনাম ছিল-‘সর্বক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার খুলনার হরিজন সম্প্রদায়)।

 

পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক রানা

 

এদিকে ‘ধর্মীয় সহিষ্ণুতা’ রিপোর্টিং বিষয়ে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে একটি নেটওয়ার্কিং কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটির আহবায়ক হলেন বাংলা ট্রিবিউনের হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা ও যুগ্ম আহবায়ক দৈনিক প্রবাহের সিনিয়র রিপোর্টার মুহাম্মদ নূরুজ্জামান।