দূর্যোগে ঝুঁকি কমাতে দাকোপে মাঠ মহড়া অনুষ্ঠিত

0
534

প্রতিনিধি,দাকোপ :
বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী’র (ডব্লিউএফপি) ও নবযাত্রা প্রকল্পের আর্থিক সহায়তায়, গ্রন্থনা ও পরিকল্পনায় এবং অদিতি’র নির্দেশনায় দাকোপ উপজেলার নয়টি ইউনিয়নে গত ০১ জুলাই থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালা ও মাঠ মহড়া “সাগর পাড়ের গল্প” প্রদর্শিত হয়েছে।

 

রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দাকোপের বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রথম পর্বের শেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাজুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রঘুনাথ রায়। প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ আবুল হোসেন। পড়ন্ত বিকালে সহস্রাধিক নারী পুরুষ এ মাঠ মহড়া দেখেন।

অনুরূপ সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর উপজেলায় ২৪ টি ইউনিয়নে গত ০৩ মার্চ ২০১৮ থেকে ১৫ মে ২০১৮ পর্যন্ত এবং খুলনা জেলার কয়রা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে এ মাঠ মহড়া হয়। মাঠ মহড়ায় অদিতি’র নির্বাহী পরিচালক মনোজ মন্ডল এর রচনায় নাটক “সাগর পাড়ের গল্প” উপস্থাপন করেছেন ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি, গ্রাম উন্নয়ন কমিটি ও ইউনিয়ন পরিষদের যুব স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ। অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতা করে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি। নাটক প্রদর্শনীর মাধ্যমে নবযাত্রা প্রকল্পের আওতাধীন কর্ম এলাকায় স্থানীয় জনগোষ্ঠির মাঝে সহজ, সাবলীল এবং সংবেদনশীলভাবে দুর্যোগের আগে স্বাভাবিক পর্যায়, দুর্যোগের পূর্ব মুহুর্তে সতর্ককালীন পর্যায়, দুর্যোগের আঘাত ও দুর্যোগ চলাকালীন পর্যায় এবং দুর্যোগ পরবর্তী পর্যায় নানাবিধ করনীয় বিষয় তুলে ধরা হয়। দাকোপ উপজেলায় তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের বটবুনিয়া হাই স্কুল মাঠে প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী এর কান্ট্রি ডিরেক্টর ক্রিষ্টা রাডের এবং খুলনার হেড অফ সাব অফিসার মাহফুজ আলম।

অন্যান্য ইউনিয়নের প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকবৃন্দ, স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, নারী নেত্রীবৃন্দ, সাংবাদিক, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচী নবযাত্রা প্রকল্পের কর্মকর্তাবৃন্দ। প্রদর্শনীর সমাপনী পর্বে বক্তারা “সাগর পাড়ের গল্প” নাটকের ভূয়সী প্রসংশা করে বলেন সাইক্লোন বা ঘূর্ণীঝড় বিষয়ে সচেতনতামূলক এই মাঠ মহড়া ও প্রদর্শনী বাংলাদেশের প্রতিটি উপকুলীয় এলাকার জনগনের সচেতনতা বৃদ্ধিতে শতভাগ ভূমিকা রাখবে। সবশেষে বক্তারা দুর্যোগ বিষয়ে উপস্থিত সবাইকে সচেতন থাকার জন্য জোর আহ্বান জানান।