দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম : থানায় মামলা নিতে তালবাহানা

0
674

নিজস্ব প্রতিবেদক : দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ার কারণে সন্ত্রাসীরা ফার্ণিচার ব্যবসায়ীকেসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করেছে। গুরুত্বজখম অবস্থায় তাদেরকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহতরা হচ্ছে মৃত্রিকা এন্টারপ্রাইজ এর মালিক মোঃ মিজানুর রহমান (৩৭), মোঃ আসলাম (৪৫), মোঃ ইউসুফ (২৫) এবং পার্থ কাজী (২২)। বুধবার রাতে খালিশপুর থানাধীন মুজগুন্নী নেছারিয়া মাদ্রাসার সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় খালিশপুর থানায় মামলা করতে গেলে উল্টো পুলিশ আসামিদের পক্ষ হয়ে মামলা নিতে গড়মসি করছেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
শনিবার (১৭ নভেম্বর) খুমেক হাসপাতালে পেইয়ং ওয়ার্ডে ১৫ নং বেডে চিকিৎসাধীন আব্দুল কুদ্দুস শেখের পুত্র ফার্নিচার ব্যবসায়ী মোঃ মিজানুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, স্থানীয় বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম তার কাছে গত ১২ নভেম্বর ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এই টাকা তাকে ১৪ নভেম্বর (বুধবার) এর মধ্যে দিতে হবে বলে শাসিয়ে যান। মিজানুুর রমমান বলেন, তিনি বুধবার রাতে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বের হচ্ছিলেন। এ সময় শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে সুমন, রব, শফিকুল, হিরো, রতন, ফয়সালসহ আরো কয়েকজন মিলে তাকে তুলে নিয়ে রেললাইনের দিকে নিয়ে যান। ওই খানে তাকে প্রথমে মোটা লাঠি দিয়ে মাথায় এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করতে থাকেন। তার কাছে থাকা দোকানের ১ লাখ ১৮ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নেয় তারা। তার ডাক চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে মোঃ আসলাম, মোঃ ইউসুফ ও পার্থ কাজীকেও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। ব্যবসায়ী মিজান বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে মুজগুন্নীতে মৃত্রিকা এন্টারপ্রাইজ নামক তার ফার্নিচারের দোকান রয়েছে। এই দোকানের ডিড শেষ হতে এক মাস বাকি আছে। শহিদুল ইসলাম আমাকে বলে এতো দিনতো ভালোই ব্যবসা করেছেন। এখন চলে যাওয়ার সময় আমাকে ৫ লাখ টাকা চাদা দিতে হবে। ওই দিন রাতে খালিশপুর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা রুজি করার জন্য কম্পিউটারে লেখানো হয়। তারপর থানার অফিসার বলেন পরদিন আসেন। পরদিন বৃহস্পতিবার গেলে বলে মামলা এখন নেয়া যাবে না।
আহত মোঃ আসলাম এর স্ত্রী শাহিনুর বেগম খুমেক হাসপাতালে এ প্রতিবেদকে বলেন, যারা মার খাচ্ছে তাদের পাশে পুলিশ এগিয়ে না এসে উল্টো আসামিদের পক্ষে নিছে। পুলিশ আসামিদের পক্ষ নিয়ে সমঝোতা কথা বলছে। সমঝোতা করে কি লাভ আবার যদি ওই সব সন্ত্রাসীরা আমার স্বামীর ওপর হামলা চালায় এর দায়ভার কে নেবে এমন প্রশ্ন রাখেন তিনি।
এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলাম শনিবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে এ প্রতিবেদকের কাছে চাদাবাজির বিষয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মিজানকে চল লাথি ঘুষি মারা হয়েছে। কি কারণে মারধর করা হলো বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
এ ব্যাপারে খালিশপুর থানার ওসি সরদার মোশারফ হোসেন শনিবার বিকেলে এ প্রতিবেদককে বলেন, থানায় মামলা দিতে এসে মামলা নেয়া হয়নি এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। যারা অভিযোগ দিছে তাদেরকে থানায় পাঠিয়ে দেন মামলা নেয়া হবে।