দাকোপে সেবার মাধ্যমে কৃষিতে বিপ্লব ঘটাতে হবে

0
441

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনাটাইমস :
কৃষিতে পরিবর্তন আনতে হলে চাষি পর্যায়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকের সেবার মাধ্যমে জমিতে ফসলের বিপ্লব ঘটাতে হবে। সেটি স্থানীয় ব্যক্তিদের নিবিড় সম্পৃক্ততা ছাড়া কোনো প্রকার সেবা ভালোভাবে চালানো সম্ভব নয়। সরকারি বা বেসরকারি দপ্তরের কার্যকারিতা অনেকাংশে কমিউনিটি গ্রুপ এবং কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর নির্ভরশীল। এসব গ্রুপের দক্ষতা বৃদ্ধি, জবাবদিহিতার ব্যবস্থা এবং আরও সক্রিয় অংশগ্রহণের উদ্যোগ খুবই দরকার।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে খুলনার দাকোপ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ‘ইউনিয়ন কৃষি সেবাকেন্দ্রের সেবার মান বৃদ্ধি বিষয়ক’ শীর্ষক এক সংলাপে এসব কথা উঠে আসে। আমেরিকান সরকারের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (ইউএসএআইডি) ফুড ফর পিস (দ্বিতীয় পর্যায়) খাদ্য সহায়তা কার্যক্রমের অর্থায়নে ‘নবযাত্রা’ প্রকল্প এই কর্মশালার আয়োজন করে।

আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের সেবাগ্রহণকারীদের মাঝে এখনও পর্যন্ত শতভাগ প্রয়োজনীয় সেবাসমূহের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়নি, যেটা খুবই জরুরি। কৃষি সেবাসমূহের ‘নাগরিক সনদ’ (সিটিজেন চার্টার) থাকাটা আবশ্যক। স্থানীয়ভাবে এ সকল ধরণের সেবাসমূহ বিষয়ে জোর প্রচারণা থাকাটাও জরুরি। তাঁরা আরও বলেন, ধানের ন্যায্যমূল্য সঠিক রেখে কৃষকের কাছ থেকে সময় মতো সংগ্রহ করতে হবে। মৌসুমি ফসলের বিষয়ে তৎপরতা থাকতে হবে। জলবন্ধতা নিরসন করে ফসলি জমির উর্বরতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষককে সঠিক পরামর্শ দিতে হবে। বাৎসরিক কর্মপরিকল্পনা ভালোভাবে করলে সকল কার্যক্রম ভালোভাবে চলবে।

সেবার মান বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের আরও প্রশিক্ষণ দেওয়া দরকার। এছাড়া প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ও ব্লকে পর্যাপ্ত উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা থাকা আবশ্যক। সেবাগ্রহীতারা যাতে নিদির্ষ্ট স্থান থেকে কৃষি বিষয়ক সঠিক সেবা নিতে পারে।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান খান। তিনি বলেন, জনবল সঙ্কট থাকায় কৃষকদের সেবা দিতে কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। সেবার বিষয়ে বলেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সেবাসমূহ স্থানীয় জনগণকে জানতে হবে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে রয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে কৃষি ই-সেবা সেন্টার। প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকের দোরগড়ায় পৌছানো হচ্ছে সেবার কার্যক্রম। তাছাড়া সরকারি সেবার পাশাপশি স্থানীয়দের সম্পৃক্ততা ছাড়া কখনো টেকসই সেবা অর্জন হবে।

এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, খাদিজা আকতার, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহাবুব রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান রঘুনাথ রায়, বিনয় কৃষ্ণ রায়, রনজিৎ মণ্ডল, শেখ আব্দুল কাদের, মাসুম আলী ফকির, সুদেব রায়, নবযাত্রা প্রকল্পের কোঅডিনেটর মাহাবুবুর রহমানসহ উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা, ইউপি সদস্য, এনজিও প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, সিভিএ নেতৃবৃন্দ, ভিডিসির প্রতিনিধি ও সেবাগ্রহণকারিরা অংশ নেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন সিভিএ প্রতিনিধির টেকনিক্যাল অফিসার স্বপ্না রানী নাগ। সার্বিক সহযোগীতায় ছিলেন সোশ্যাল একাউন্টিবিলিটি অর্গানাইজার বিপুল বিশ্বাস ও মিলি মণ্ডল।