আজিজুর রহমান, দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি, খুলনাটাইমস:
খুলনা জেলার দাকোপ উপজেলার কৈলাশগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মিহির মন্ডলের বিরুদ্ধে নদী খনন কাজে ব্যাপক দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিকার চেয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং দাকোপ প্রেসক্লাব বরাবরে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। উক্ত দাপুটে চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের সামনে দম্ভ করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ হয়েছে, পত্র পত্রিকায় তা লেখাও হয়েছে, এতে কিচ্ছু এসে যায় না।
এলাকাবাসী এবং ৮ জন ইউপি সদস্যের স্বাক্ষর সম্বলিত আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের অভ্যন্তরে চড়া নদী ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ক্ষুদ্র পানি সেচ প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি প্রণীত কমিটি ও ইউপি চেয়ারম্যানের তত্বাবধানে নাম মাত্র খনন করা হয়। এতে চেয়ারম্যান ব্যাপক অর্থ আত্মসাৎ করেন। এর ঠিক পরবর্তি অর্থ বছরে ২০১৬-২০১৭ -এর এপ্রিল মাসে চীনা ঠিকাদারের অধিনে একই নদী সুন্দরবনের দিক থেকে স্থানীয় শ্রমিকদের মাধ্যমে খনন কাজ শুরু হয় এবং দু’পারের কোনো গাছ-পালা না কেটে প্রায় ৪/৫ শত ফুট নদী খনন সম্পন্ন হয়। তখন চেয়ারম্যান জোরপূর্বক শ্রমিকদের কাজ বন্ধ করে দেন এবং চীনা ঠিকাদারদের সাথে যোগাযোগ করে নিজেই এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে প্রায় তিন কিলোমিটার নদী খনন করেন। উক্ত খনন কাজ করার সময় দু’পারের সরকারী, প্রাকৃতিক এবং ব্যক্তি মালিকানাধিন হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হয়। বর্ষা মৌসুম এলে কাজটি বন্ধ রাখা হয়। অভিযোগ মতে গতবার যেখানে এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে খাল খনন করা হয়েছিল সেখানে অনেক জায়গায় দু’পার ধসে গিয়ে রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমান বছরে আবারও চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে চড়া নদীর বাদ-বাঁকি অংশ এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে কাটার প্রস্তুতি চলছে। ইতোমধ্যে ধোপাদী পারের হাজার হাজার বৃক্ষ কেটে ফেলা হয়েছে । এক্সেভেটর মেশিন ঘুরানোর জন্য গাছ কেটে পরিষ্কার করা হচ্ছে নদীর পাড়।সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে এলাকাবাসীর দাবি স্থানীয় শ্রমিকদের দিয়ে যেন নদীটি খনন করা হয় এবং কোনো বৃক্ষ যেন নদী খননের নামে ধ্বংস না করা হয়। সাথে সাথে উক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে নদীটি খনন না করে যেন চীনা ঠিকাদার সরাসরি নদীটি খনন করেন।
উক্ত বিষয়টি মুঠোফোনে কৈলাশগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মিহির মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্পটি চীনা ঠিকাদার নিয়ে কাজ করছে। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুল আলম বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে দেখে এবং জেনে সঠিক পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।
#