দশ টাকায় বিক্রির চাল মজুদ নেই খুলনার খাদ্য গুদামে

0
885

বিশেষ প্রতিনিধি :
সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দশ টাকায় চাল বিক্রির কর্মসূচি থাকলেও উদ্যেগ ভাটা পড়ে। প্রতি মাসে কারাগার, আনসার, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, ফায়ার ব্রিগেড ও ভিজিডি’র জন্য প্রায় ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল সরবরাহ করতো হয়। জেলার দুটি কেদ্রীয় ও আটটি উপজেলা পর্যায়ের গুদামে মজুদের পরিমাণ ১০ হাজার ৭১২ মেট্রিক টন।

আমন ওঠার আগ পর্যন্ত হতদরিদ্র পরিবার কর্মসংস্থানের সুযোগ না থাকায় এবং বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষে সরকার সেপ্টেবর-নভম্বর পর্যন্ত কেজি প্রতি দশ টাকায় চাল বিক্রির উদ্যোগ নেয়। এবছর বোরো ওঠার আগ পর্যন্ত জেলার ৮৩ হাজার পরিবার এই সুবিধা পায়। খাদ্য অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, ঈদের পরপর ১০টাকা কজি চাল উদ্যোগ নেয়া হয়। এই কর্মসূচি সফল করতে জেলার ৬৮টি ইউনিয়নে ১৭২জন ডিলার নিয়াগ করা হয়। কর্মসূচির আলাক প্রতি পরিবারর জন্য মাসে ৩০কেজি চাল বরাদ্দ হয়। গুদামগুলোতে চাল মজুদ না থাকায় সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে রবিবার পর্যন্ত এই কর্মসূচি চালু করা সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশ অনিছুক জেলা খাদ্য অফিসের সূত্র জানান, মহানগরী এলাকায় ২০টি পয়েন্টে ওএমএস এর চাল বিক্রি শুরু হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত এই কর্মসূচিতে ৫২০ মেট্রিক টন চাল বিক্রি করা হবে। আগস্ট মাসে জলার গুদামগুলোত ৩ হাজার ৬৮৯ মেট্রিক টন, ২৪ সেপ্টেবর ৮হাজার ৩৬৬ মেট্রিক টন এবং সোমবার পর্যন্ত ১০হাজার ৭১২ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। মজুদ চাল বিভিন সংস্থা ও বন্যা দূর্গত এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। মজুদ না থাকায় ১০ টাকার কেজির চাল বিক্রির উদ্যোগ নেয়া যাচ্ছে না।

আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল মানান তালুকদার জানান, ১০ টাকা কজি দরের চাল বিক্রির কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। কবে নাগাদ শুরু হবে তা বলা যাচ্ছে না। অক্টোবর মাসে বিদেশ থেকে চাল বোঝাই করে দুটি জাহাজ মংলা বন্দরে আসে। বন্দরে আসা চালের পরিমাণ ২৬ হাজার ৫শ’ মট্রিক টন। আমদানিকত চাল বরিশাল ও উত্তরের অঞ্চলে পাঠানো হবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: কামাল হোসেন জানান, চালর বাজার নিয়ন্ত্রনে এসেছে। তিনি সোমবার দৌলতপুর, খালিশপুর, চিত্রালী বাজার ও খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেটে চালের বাজার দর মণিটরিং করেছেন। এসময় খাদ্য পরিদর্শক ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ তার সাথে ছিলন। তিনি বলেন, মোটা চালর মূল্য নিয়ন্ত্রনে এসেছে। পাইকারী মোটা চাল ৩৬-৩৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চালর কেজি ৬৫ টাকা:
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্র জানান, চাল ও গমের মূল্য অস্থিতিশীল রয়েছে। সোমবারের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী মহানগরীত মোটা চালের খুচরা মূল্য কেজি প্রতি ৪০টাকা, মাঝারি ৪২-৪৩ টাকা, চিকন ৫১-৫২ টাকা, চিকন (মিনিকেট) ৫৫-৫৬ টাকা, চিকন (বাংলামতি) ৬১-৬৫ টাকা, আতপ ৩৪-৩৫ টাকা, আটা (লুজ) ২৬-২৭ টাকা, আটা (প্যাকট) ৩০-৩১ টাকা দর বিক্রি হয়।