থমথমে খুলনা, জনমনে উদ্বেগ

0
385

 এমএ আলী, নিজস্ব প্রতিবেদক:
খালেদা জিয়ার মামলার রায় ঘিরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে খুলনাজুড়ে। বৃহস্পতিবার ভোর আসেনি অন্যান্য দিনের মতো। বাড়েনি নাগরিক ব্যস্ততা। রাস্তায় সীমিত রয়েছে যান চলাচল।
তবে ভোর থেকেই রাজপথ দখলে নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নাশকতা এড়াতে সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও র্যাব। তাদের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে রয়েছে বিজিবি।
তবে এত কিছুর পরও আতঙ্ক কাটছে না নগরবাসীর। সবখানেই বিরাজ করছে চাপা আতঙ্ক। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হননি কেউই। রাস্তায় ব্যক্তিগত যানবাহন একেবারেই শূণ্যের কোঠায়। রিকশা, অটোরিকশাসহ গণপরিবহণের উপস্থিতিও রয়েছে সীমিত।
রেলওয়ে স্টেশন ও বাস টার্মিনালে অন্যান্য দিনের মতো নেই ব্যস্ততা। তবে দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলা রুটের সকল যানবাহন চলাচল রয়েছে অনেকটাই স্বাভাবিক। সময়মতো ছেড়ে গেছে বিভিন্ন গন্তব্যের ট্রেন। বেলা বাড়লেও সেইভাবে খোলেনি নগরীর বিপণী বিতানগুলো। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খোলা থাকলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি রয়েছে সীমিত।
এদিকে এ রায় নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে ক্ষমতাশীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি শিবিরে। এরই মধ্যে নগর দলীয় কার্যালয়ে এসে অবস্থান নিয়েছেন বিএনপি বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। সহিংসতা এড়াতে আগে থেকেই ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে নগরীর আওয়ামী লীগ কার্যালয়েও। সেখানেও বাড়ছে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি। এনিয়ে সকাল ১১.৩০টা পর্যন্ত নগরীতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কেমপির মুখপাত্র মনিরা সুলতানা বলেন, নগরীর নিরাপত্তায় তারা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছেন। জনগুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে সকল রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে। তল্লাশি ও টহল বাড়ানো হয়েছে। চলছে গোয়েন্দা তৎপরতা। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি দায়িত্বপালন করছে।
এর আগে বুধবার রাতভর নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় নগর পুলিশ। এটি নিয়মিত অভিযানেরই অংশ। তাদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
রায় পরবর্তী বিএনপির কর্মসূচি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর বিএনপির নেতারা বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে নগর পুলিশ কাউকে বাধা দেবে না। তবে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডে জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এ নিয়ে নগরবাসীকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।