তালায় ধর্ষণের মামলা করে আতঙ্কিত পরিবার, ধর্ষিতার মাকে ধর্ষণের হুমকি!

0
458

তালা (সাতক্ষীরা )প্রতিনিধি ::

সাতক্ষীরা তালায় হতদরিদ্র পরিবারের কিশোরীকে (১৫) জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে লম্পট সোহাগ সরদার। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে তালা সদর ইউনিয়নের জেয়ালা গ্রামে।

ধর্ষিতা কিশোরীর মা জানান, শুক্রবার সকালে কাজ করার জন্য তিনি ও তার স্বামী মাঠে যান। সে সময় তার অসুস্থ্য মেয়ে বাড়িতে একা ছিল। বেলা ১২টার দিকে পাশ্ববর্তী হায়দার সরদারের লম্পট ছেলে সোহাগ সরদার (২৫) ঘরে ঢুকে কিশোরী মেয়েকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এঘটনায় ধর্ষিতার পিতা আজিজ সরদার বাদী হয়ে তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং -৮। থানায় মামলা করে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ধর্ষিতার পরিবার। একটি রাজনৈতিক মহল মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত হুমকি দিচ্ছে । শুধু তাই নয় মামলা তুলে না নিলে ধর্ষিতার মাকে ধর্ষনের হুমকি দিচ্ছে আসামি পক্ষরা বলে অভিযোগে করেন ধর্ষিতার পরিবার।তারা বাড়ি থেকে বের হলেই নানা ভাবে হেনস্তা করছে দিচ্ছে অশ্রাব্য ভাষায় গালি-গালাজ। মান সম্মানের ভয়ে তারা বাড়ি হতে বের হতে পারছে না ধর্ষিতার পরিবার।
সরজমিন পরিদর্শনে জানা যায়, তালা উপজেলার জেয়ালা নলতা গ্রামের দিনমজুর আব্দুল আজিজের কন্যাকে ২৯মে সকাল ১২ টার সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে অসুস্থ মেয়েকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে লম্পট সোহাগ। সে একই গ্রামের লম্পট হায়দার আলী সরদারের পুত্র। এলাকার মানুষের অভিযোগ হায়দার আলীও ঐ এলাকার চিহ্নিত লম্পট। ইতোপূর্বে সে তার নিজ পুত্রবধু ও ভাতিজি সহ এলাকার একাধিক মহিলাকে রাতের আঁধারে ধর্ষন করার অভিযোগ রয়েছে।তার অত্যাচারে রাতের বেলায় মহিলারা সম্ভ্রম হানির ভয়ে ঘর হতে বের হতে পারে না। তার লম্পট্যের সালিশ মিমাংশা অনেকবার করেছে এলাকার মানুষ। এঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ ধর্ষক ও তার পরিবারের শাস্তির দাবীতে ফুঁসে উঠেছে।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য সাংবাদিক মীর জাকির হোসেন বলেন, অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের প্রতি যে নিষ্ঠুরতা হয়েছে তা খুবই দুঃখ জনক। যে কোন বিবেকবান মানুষের উচিত হবে এই নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদ করা। তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন ও তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেলের সাথে তিনি কথা বলেছেন।তারা তাকে আশ্বাস্ত করেছেন অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। প্রশাসন এই মামলাটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন বলে জানান তিনি।

তালা থানা অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল বলেন, ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি যতদ্রæত সম্ভব প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করার। চৌকস পুলিশ অফিসার কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, আশাকরি অতিশীঘ্রই আসামীকে গ্রেফতার করা হবে।