তালায় জুন শেষেও অর্থাভাবে কাজ শুরু করতে পারেননি অধিকাংশ প্রাথমিক বিদ্যালয়

0
420

এম আর জামান টিপু, তালা(সাতক্ষীরা):
সাতক্ষীরার তালা উপজেলা নির্বাহী কার্যালয় থেকে উপজেলার ১২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র সংষ্কার ও মেরামত কাজে ১৯ লক্ষ ২০ হাজার ১ শ’ টাকা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২৬ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাইনর ক্যাটাগরিতে ৫২ লক্ষ সর্বমোট ৭১ লক্ষ ৫২ হাজার ১ শ’৩২ টাকা বরাদ্দ হলেও অধিকাংশ স্কুল বা ভোট কেন্দ্রে কোন কাজ হয়নি। কোথাও নাম মাত্র কাজ হলেও তারা এখনো টাকা পাননি,এমনটাই জানিয়েছেন,সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কতৃপক্ষ।
অভিযোগে জানাগেছে, উপজেলার ২৬টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাইনর কাট্যাগরিতে স্কুল প্রতি ২ লক্ষ টাকা করে মোট ৫২ লক্ষ টাকা। ভ্যাট ও আইটি কর্তন বাদে মোট ৪৭ লক্ষ ৩২ হাজার টাকা ও ১২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্র সংষ্কার ও মেরামতের জন্য ১৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানাযায়, চলতি অর্থ বছরের জুন মাস অতিবাহিত হলেও অধিকাংশ বিদ্যালয়ে এখন পর্যন্ত কোন কাজই হয়নি। কোন কোন বিদ্যালয়ে নাম মাত্র কাজ শুরু হলেও তা শেষ হয়নি। অনেক বিদ্যালয় কতৃপক্ষ জানেই না যে তাদের বিদ্যালয়ে অর্থায়ন হয়েছে। তবে যে সব বিদ্যালয়ে নামমাত্র কাজ শুরু হয়েছে তারা বলেন, কাজ শুরু হলেও এখনো টাকা পাননি।
প্রায় অর্ধ কোটি টাকা অর্থায়নে প্রাথমিক স্তরের বিদ্যাপীঠগুলোর উন্নয়ন কাজের এমন বাস্তবায়ন চিত্রে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্ব স্ব এলাকার অভিভাবকসহ সচেতন মহল।
প্রকল্পগুলোর খোঁজ খবর নিতে সোমবার তালা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমানের অফিসে গিয়ে তার কাছে জানতে চাইলে উল্টো তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন,জুন শেষ-কাজ শেষ এখন এসেছেন কেন? তার এমন প্রশ্নে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন উপস্থিত অন্যান্য সহকর্মীরাও।
এব্যাপারে কথা হয় বরাদ্দ প্রাাপ্ত হরিহর নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সালেকুর রহমান জানান,তারা গত ১৫ জুন অর্থ বরাদ্দের কথা জানতে পেরেছেন তবে এখনো কোন টাকা পাননি। এছাড়া এসময় অন্যান্য সহকারী শিক্ষকরা এ প্রতিবেদককে বলেন, তারা এই মূহুর্তে সংষ্কার কাজ করাবেননা। কেননা তাদের বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক,এখনই সংষ্কার কাজ করালে নতুন ভবন বরাদ্দ পেতে বেগ পেতে হবে।
কথা হয়,দরমুড়াগাছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অরেবিন্দু রায় বলেন,বরাদ্দের খবর পেয়েই তারা নিজস্ব অর্থায়নে কাজ শুরু করেছেন। কাজের অগ্রগতি ৩০ শতকরা হলেও এখন পর্যন্ত তারা কোন টাকা পাননি। বরাদ্দের খবর ৩ জুন পেলেও পিতৃমৃত্যুর কারণে ৯ তারিখে শুরু করেছেন বলেও জানান তিনি। অধিকাংশ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বক্তব্য এরকমই।
এব্যাপারে তালা উপজেলা প্রকৌশলী কাজী আবু সাঈদ মো: জসিম জানান,শর্ত সাপেক্ষে অর্থ ছাড়ে প্রত্যয়ন দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন সংষ্কার কাজ বাস্তবায়ন হয়নি। সর্বশেষ এলাকাবাসী সংষ্কার কাজ এগিয়ে নিতে অর্থছাড় ও তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।