তালায় কবর খোঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ : আহত ৭

0
395

মোঃ রোকনুজ্জামান টিপু ,তালা সাতক্ষীরা ::

সাতক্ষীরা তালায় কবর খোঁড়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ,গত ১৫ মে দুপুরে তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জেঠুয়া গ্রামে। গুরুত্বর আহত ২ জনকে তালা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, জেঠুয়া গ্রামের মৃত মোমিন শেখের পুত্র নুরআলী (৫০) দীর্ঘ দু-বছর যাবৎ রক্তশুণ্যতাসহ বিভিন্ন জটিলরোগ রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়িত ছিলেন। গত ১৫ মে সকাল ৯টার দিকে তিনি নিজ বাস ভবনে মৃত্যু বরন করেন।দুপুরে মৃতের পারিবারিক কবরস্থানে কবর খোঁড়ার সময় প্রতিপক্ষ’র লোকজন কবর খুড়তে বাঁধা প্রদান করে, এবং খোড়া কবরটিতে কলাগাছ রেখে ভরাট করে দেয় প্রতিক্ষকরা।এ নিয়ে কবরস্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এঘটনায় কবর খুঁড়তে আসা স্থানীয় প্রতিবেশী ফয়েজউদ্দিন (৫৫), রেয়াজউদ্দিন (৬০), বজলু শেখ (৪৫),গফ্ফার সেখ (৫২), আমজাদ শেখ (৫৩), মিজানুর জোর্য়াদ্দার (৫০),মহাব্বত শেখ (৫৫) সহ ১০/১২ জনকে পিটিয়ে জখম করে প্রতিক্ষরা।এঘটনায় গুরত্বর আহতদের উদ্ধার করে ২ জনকে তালা হাসপাতালে ভর্তি করে এলাকাবাসী।বর্তমানে আহতরা তালা হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে জানান এলাকাবাসী।

সদ্য বিধবা নুরআলীর স্ত্রী ফজিলা বেগম (৪০) জানান, একই গ্রামের রহমত আকুঞ্জির ছেলে জুলফিকার ও ওজিয়ার গংদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল।স্বামীর ওসিয়াত অনুযায়ী মৃত্যুর পর তার মা-বাবার পাশে কবর খোঁড়া শুরু করেন প্রতিবেশীরা।এসময় আকষ্মিক জুলফিকার ও ওজিয়ার গংরা এসে কবর খোঁড়া বন্ধ করে দেন।এ ঘটনায় কবর খুড়তে আসা প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর এই হামলা করে জুলফিকার ও ওজিয়ার গংরা। বিষয়টি তাৎক্ষনিক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ থানা প্রশাসনকে অবহিত করলে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন সরেজমিন উপস্থিত হয়ে লাশটি দাফন সম্পন্ন করেন।

এবিষয়ে আহতরাসহ স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, রহমত গংরা এই জমির (কবর স্থানের) ওয়ারেশ নয়, আমাদের জীবদ্দশায় দেখছি মৃত নুরআলী তার নানার ওয়ারেশ সুত্রে ভোগ-দখল করে আসছে। তারা আদৌ এই পরিবারের কেউ নন। কিন্ত দীর্ঘদিন নুর আলীর অসুস্থ্যতার সুযোগে বছর তিনেক পূর্ব থেকে রহমত গংরা ওয়ারেশ দাবী করে জবর-দখল করার পায়তারা করে আসছে।

এ ব্যাপারে তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল হোসেন জানান, খবর পেয়ে আমি সরেজমিনে ঘটনাস্থাল পরিদর্শনে গিয়েছিলাম।এক জন মৃত ব্যক্তির লাশ দাফনের জন্য কবর খুড়তে বাধাঁ বা সংঘর্ষের ঘটনা টি সত্যিই অমানবিক।