ড্রীম সোসাইটি নামে ভূয়া প্রতিষ্ঠান ৩০ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা

0
618

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা টাইমস:

ড্রীম ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী কো অপারেটিভ সোসাইটি নামে নিবন্ধনহীন ভূয়া প্রতিষ্ঠান বানিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে কতিপয় প্রতারক চক্র। প্রতিষ্ঠানের একাধিক গ্রাহক ও মাঠ কর্মি বিপাকে পড়েছে। এঘটনায় পুলিশ প্রতিষ্ঠানটির ৪ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করেছে।
খোজ নিয়ে জানাযায়, প্রায় দেড় মাস আগে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের মূল হোতা রিমন খান, মাসুম বিল্লাহ, রবি ইসলাম ওরফে রাজু, আরিফ ও এনামুল। ওই প্রতারক চক্র চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রায় ২০-২৫ জন কর্মকর্তা ও মাঠ কর্মির কাছ থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা জামানত আদায় করে। মাঠ কর্মিদের দ্বারা সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে প্রতারণা শুরু করে। চক্রটি লোন দেবার কথা বলে মাসিক সঞ্চয় সংগ্রহ শুরু করে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস যোগাতে এক কিস্তি দেবার পর ৪-৫ জন গ্রাহককে মোটা অঙ্ক লোন দেওয়া হয়। এক লাখ টাকা লোন পেতে মাসিক ১০ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হবে এমন প্রলোভনে পড়ে অসহায় মানুষেরা হিসাব খুলে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে। প্রায় ৫০-৬০ জন গ্রাহককে বুধবার লোন দেবার কথা বলা হয়। কিন্তু সকাল থেকে গ্রাহকরা লোনের টাকা নিতে আসলে মূল প্রতারক চক্রটি গোপনে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে গ্রাহকরা ক্ষুব্ধ হয়ে হৈচৈ শুরু করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আবু আনসার (৩৫), শেখ জাহাঙ্গীর (৫০), তৌহিদুল ইসলাম (৩৩) ও মোঃ নেছার হাওলাদারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
বুধবার রাতে ৩০-৪০ জন ক্ষুব্ধ গ্রাহক সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ করেন, তারা মোটা লোন পেতেই সঞ্চয় হিসাব খুলে কিস্তির টাকা পরিশোধ করে। গ্রাহক লাকী আক্তার বলেন, আমাদের আজ লোন দেবার কথা সেজন্য আমরা কিস্তির টাকা দিয়ে লোন আনতে গেলে প্রতিষ্ঠানের মূল কর্তা ব্যক্তিরা পালিয়ে যায়।
প্রতিষ্ঠানের মাঠ কর্মি ইশরাত জাহান, মরিয়ম ও মনিরাসহ আরও কয়েক জন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের চাকরি দেবার কথা বলে প্রত্যেকের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়েছে। কিন্তু আমাদের চাকরি তো দেয়নি বরং বিপদে ফেলে দিয়েছে।
সোনাডাঙ্গা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমতাজুল হক বলেন, আমি গ্রাহক ও মাঠ কর্মিদের সাথে কথা বলেছি। তারা এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।