ডেনলির ৬ রানের আক্ষেপ

0
284

খুলনাটাইমস স্পোর্টস: টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির সুবাস পেয়েও হারিয়ে ফেললেন জো ডেনলি। পঞ্চাশ পেরিয়ে বেন স্টোকস পারলেন না সিরিজে তৃতীয় সেঞ্চুরির কাছে যেতে। সম্ভাবনা জাগিয়েও জস বাটলার পারলেন না ম্যাচে দ্বিতীয়বার পঞ্চাশ ছুঁতে। তবে ব্যক্তিগত এই আক্ষেপগুলো খুব একটা ভোগায়নি দলকে। ইংল্যান্ড পেয়ে গেছে বড় লিড।
অ্যাশেজের ওভাল টেস্টের তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেটে ৩১৩ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। প্রথম ইনিংসের ৬৯ রানের লিড মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে ইংলিশরা এগিয়ে এখন ৩৮২ রানে।
ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ হয়ে ওঠা উইকেটে খুব খারাপ করেননি অস্ট্রেলিয়ান বোলাররা। কিন্তু ওই তিন ব্যাটসম্যানের দৃঢ়তা আর প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে ইংল্যান্ড এগিয়ে গেছে অনেকটাই।
৩৩ বছর বয়সী ডেনলি ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরির কাছে। কিন্তু আউট হয়ে যান ৯৪ রানে।
ডেনলি আর ররি বার্নস মিলে সকালে ইংল্যান্ডকে এনে দেন ভালো শুরু। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন তোলেন ৫৪ রান।
২০ রান করা বার্নসকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ন্যাথান লায়ন। লাঞ্চের একটু আগে ইংলিশ অধিনায়ক জো রুটকেও ফেরান এই অফ স্পিনার।
এরপরই ইংল্যান্ড পায় ইনিংসের সেরা জুটি। তৃতীয় উইকেটে ১২৭ রান যোগ করেন ডেনিলি ও বেন স্টোকস। এই দুজনের সৌজন্যে দ্বিতীয় সেশনে কোনো উইকেট না হারিয়ে ইংল্যান্ড যোগ করেন ১০৫ রান।
চা বিরতির পর জুটি ভাঙেন সেই লায়ন। দুর্দান্ত ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন ৬৭ রান করা স্টোকসকে।
ডেনলির হৃদয় ভাঙা মুহূর্তটি আসে এরপরই। পিটার সিডলের ডেলিভারিটি ছিল দারুণ। ডেনলির ব্যাটের কানায় লেগে এগিয়ে থাকা কিপার টিম পেইনের পায়ে লেগে বল যায় স্লিপে স্টিভেন স্মিথের হাতে।
ডেনলি-স্টোকসের জুটি ভাঙার পর অস্ট্রেলিয়া উইকেট নিয়েছে নিয়মিত। আর কোনো জুটি পেরোয়নি ৩০ রানও। তবে এক পাশে উইকেট পতনের মাঝেই প্রথম ইনিংসের মতো অস্ট্রেলিয়াকে ভোগান জস বাটলার। ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ৬৩ বলে।
প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেটের পর এই ইনিংসে মিচেল মার্শ নিয়েছেন ২ উইকেট। দুটি নিয়েছেন সিডলও। দুর্দান্ত দুটি ক্যাচসহ স্লিপে চারটি ক্যাচ নিয়েছেন স্মিথ। কিন্তু তারপরও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে ইংল্যান্ডই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৯৪
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২২৫
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৯১ ওভারে ৩১৩/৮ (আগের দিন ৯/০) (বার্নস ২০, ডেনলি ৯৪, রুট ২১, স্টোকস ৬৭, বেয়ারস্টো ১৪, বাটলার ৪৭, কারান ১৭, ওকস ৬, আর্চার ৩*, লিচ ৫*; কামিন্স ১৯-৪-৫৫-১, হেইজেলউড ১৯-৫-৫৭-০, লায়ন ২২-৫-৬৫-৩, সিডল ১৩-৪-৫২-২, মার্শ ১১-১-৪০-২, লাবুশেন ৭-১-২৬-০)।