ডুমুরিয়ায় পুলিশে চাকুরী দেয়ার নামে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা নিয়েছে কনষ্টবল

0
339

ডুমুরিয়া প্রতিনিধি:
ডুমুরিয়ায় পুলিশের চাকুরী দেয়ার নামে হত-দরীদ্র এক পরিবারের নিকট থেকে সাড়ে সাত লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে পুলিশের এক কনষ্টবল।এমন অভিযোগ এনে টাকা ফেরত ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে পুলিশের আইজিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন ভূক্তভোগী পরিবার। দায়েরকৃত
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কুলবাড়িয়া এলাকায় ভ্যান গাড়ী চালক হত-দরীদ্র ফজলু শেখের ছেলে লিটন শেখ পুলিশে চাকুরীর জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিল।এমন খবর পেয়ে একই এলাকার পুলিশে
কর্মরত কনষ্টবল সাদ্দাম হোসেন ও তার পিতা আইয়ুব আলী সরদার ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে চাকুুরী পাইয়ে দিবে মর্মে কথা বলে ওই পরিবারের সাথে। আলাপে সন্তষ্ট হয়ে অগ্রিম সাড়ে সাত লক্ষ টাকা ও চাকুরীর পর বাকি আড়াই লক্ষ টাকা দিবে বলে রাজি হয় পরিবারটি।যেমনি কথা তেমনি কাজ,২০১৫ সালের ৩ এপ্রিল ফজলু শেখ তার ফসলী জমি বিক্রি করে ৫ লক্ষ ১০ হাজার ও হালের বলদসহ মোটা অংকে সুদে টাকা নিয়ে পুলিশ কনষ্টবল সাদ্দামের কথামত সাড়ে সাতলক্ষ টাকা তুলে দেন তার পিতা আইয়ুব আলীর হাতে।এরপর এ মাঠ নয়,সামনের মাঠ পুলিশে লোক নিলে তার চাকুরী হবে বলে আস্বাস্ত করে পরিবারটিকে।এভাবে মাঠ দেখতে দেখতে চাকুরীর বয়স পার হয়ে যায় লিটনের।তখন আশার গুড়ে বালি ও হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে পরিবারটি।ছেলের চাকুরীতে সংসারে বইবে সুখের বাতাস,একমাত্র বোনের
বিয়ে হবে মহা ধুম ধামে, এমন স্বপ্ন ভেঙ্গে চুরমার হয় পরিবারটির। এরপর থেকে শুরু হল টাকা ফেরত পাওয়ার পালা।সেই থেকে টাকা ফেরত ও সু-বিচারের আশায় স্থানীয় মাতুব্বর ও শালিশী বৈঠক করে কোন সুফল হয়নি পরিবারটির।অবশেষে বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপিসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লিটনের বাবা ফজলু শেখ। এ প্রসংগে কথা হয় স্থানীয় ইউপি সদস্য শেখ আঃ হালিম মুন্নার সাথে।তিনি বলেন কয়েক বার শালিশী বৈঠকে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললেও তারা কর্ণপাত করে নাই। তিনি আরো বলেন অস্ত্র মামলায় ৪ বছর সাজাপ্রাপ্ত আইয়ুব ও তার ছেলে কনষ্টবল সাদ্দাম হোসেনের বিরুদ্ধে এ ছাড়াও অর্থ আত্মসাৎ‘র অনেক অভিযোগ রয়েছে।তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।এ প্রসংগে জানতে চাইলে কনষ্টবল সাদ্দাম হোসেন মোবাইল ফোনে বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন।