ডুমুরিয়ায় পানির দরে সবজীর বাজার : উৎপাদন খরচও পাচ্ছেনা কৃষকেরা

0
580
এস রফিক, ডুমুরিয়া থেকে: ডুমুরিয়ায় পানির দরে সবজী বিক্রি হওয়ায় পথে উঠতে বসেছে কৃষকেরা।লাভবান হচ্ছে মধ্য স্বত্তভোগী। লোকসানের ঘানী টানছে কৃষক ও খুচরা ক্রেতারা। বাড়ছে ঋনের বোঝা, চরম হতাশয়ে রয়েছে কৃষক পরিবার। আর সবজীর দাম ও ক্রেতা না থাকায় বেশীর ভাগ সবজীর স্থান মিলছে ডাষ্টবিনে। কবে ্উঠবে
সবজীর দাম,্আর কৃষকের চোখে-মূখে ফুটে উঠবে সোঁনালী স্বপ্ন এমনটি জানা নেই তাদের। এর পরও প্রতিদিনের উৎপাদিত সবজী নিয়ে কাঁচামালের আড়ৎ ও ব্যাপারিদের নিকট ধর্ণা ধরতে হচ্ছে তারা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় ডুমুরিয়ায় এ বছর ২৭‘শ ৫০ হেক্টর জমিতে লাউ,কুমড়ার জালি,শশা,করোলা,ঝিংগাসহ বিভিন্ন জাতের সবজীর আবাদ করা হয়েছে।যেখানে কৃষক কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অধিক সবজী উৎপাদনে সক্ষম হয়েছে।উৎপাদিত সবজী কৃষকের মাঝে ছড়িয়েছিল সোনালী স্বপ্ন কিন্তু সবজীর দাম ও ক্রেতা না থাকায় সে আশায় নিরাস হয়েছে কৃষক পরিবার। এখন  কেমন আছে কৃষক ও তার পরিবার কথা হয় বান্দ তালতলা এলাকার কৃষক সুধাময় মন্ডলের সাথে তিনি জানান চলতি বছরে ৬/৭টি ঘেরের ভেঁড়ীবাঁধে প্রায় ৫ একর জমিতে সব্জি চাষ করেছি। এতে বাঁশ, জাল, শ্রমিকসহ                                                                                                                                                                                                                                                                                         লাখের উপরে খরচ দাঁড়িয়েছে। গত ১৫দিন হচ্ছে সব্জি উঠা শুরু করেছে। একদিন পর একদিন ১৬/১৭ মন সব্জি উঠছে কিন্তু এবছর প্রতি কেজি শশা ৮টাকা, করলা ৪টাকা, কুশি ৩টাকা, জালি ২টাকা, ল্উা ৩টাকা বিক্রি ঘোনার সুখেন্দ্রনাথ ঢালী,ধানিবুনিয়ার গোপাল মন্ডল, পেড়িখালীর নিত্যানন্দ বাছাড়, শোভনার অশোক মল্লিক, চিংড়ার ইকবল হোসেন, গাওঘরার গাজী আজিজুর রহমানসহ অনেকেই জানান, পানির দরে সব্জি বিক্রি হওয়ায় আমরা পথে উঠতে বসেছি। এমনকি সব্জির দাম ও ক্রেতা সেগুলি ডাষ্টবিনে ফেলতে বাধ্য হচ্ছি।দিনে দিনে বাড়ছে ঋনের বোঝা,তারপরও এর পরও প্রতিদিনের উৎপাদিত সবজী নিয়ে কাঁচামালের আড়ৎ ও ব্যাপারিদের নিকট ধর্ণা ধরতে হচ্ছে।কথা হয় ডুমুরিয়া হাসেম আলী কাঁচা বাজারের আড়ৎদার জিল্লুর রহমান,সেলিম হালদারসহ অনেকের সাথে। তারা জানান সবজীর দাম না থাকায় আমরাও  আড়ৎ ব্যবসায়ে বিপাকে আছি। কথা হয় খুচরা বিক্রেতা শিমুল বিশ্বাস, রোকনুজ্জামানসহ অনেকের সাথে তারা জানান ২০ টাকা কেজির নিচে কোন সবজী নেই। এর নিচে বিক্রি করলে আমাদের সংসার চলে না।
খুচরা ক্রেতা জসিম উদ্দিন,আবুল হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান মধ্যস্বত্তা ভোগীরা ভালই আছে। যত বিপদ কৃষক ও খুচরা ক্রেতাদের বেলায়। এ প্রসংগে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম জানান কৃষকদের বাঁচাতে উপজেলার উলা ও আমভিটা এলাকায় দু‘টি সবজীর মার্কেট গড়ে তোলা হয়েছে। অনুরুপ ভাবে মার্কেট গড়ে তোলার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং এর মাধ্যমে হয়ত সমাধান আসতে পারে।