ডুমুরিয়ায় ইউপি সদস্য জয়ের বিরুদ্ধে বিধবার জমি জোরপূর্বক দখলে নেওয়ার অভিযোগ

0
368

নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনায় ডুমুরিয়া উপজেলার ১৩ নং গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয় কুমার মন্ডল কর্তৃক বিধবা মহিলার জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ তুলে শনিবার দুপুর দেড়টায় খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সুষমা মন্ডল। তার পক্ষে লিখিত অভিযোগটি পাঠ করেন পরিতোষ বিশ^াস।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সুষমা মন্ডল গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের পঞ্চু গ্রামের নাগরিক। ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জয় কুমার মন্ডল, জাল দলিলের মাধ্যমে তার জমি জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার চেষ্টা করছে। সুষমা বিধবা মহিলা বিধায় স্বামীর থেকে কেনা (৪ শতক) জমি ছাড়াও বাকি জমি দখল করতে চায়। এ ব্যাপারে বাঁধা দিতে গেলে ইউপি সদস্য তার সন্ত্রসী বাহিনী নিয়ে আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বলে, তোদের আত্মীয়-স্বজনের জমি যেভাবে দখল কওে, রাতের আধারে ভারতে পাঠিয়ে দিয়েছি, ঠিক তোদেরও সেরকম পরিনতি হবে।
এনিয়ে থানায় যেতে চাইলে ইউপি জয় ও তার সন্ত্রসী বাহিনী এসে আমাদের মারধর করে এবং জীবননাশের হুমকি প্রদান করে। একের পর এক আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন ও হত্যার হুমকি প্রদান করে আসছে। এ ব্যাপারে লিখিতভাবে ১৩নং গুটুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এই খবর ইউপি সদস্য জয়ের নিকট পৌছলে, সে আমার বাড়িতে এসে আমি সহ চেয়ারম্যানকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে, যা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এসময় উক্ত স্থানে উপস্থিত ছিলেন, পরিতোষ মন্ডল, অলোক মন্ডল, বিকাশ মন্ডল, ঠাকুর বিশ্বাস, দিব্যেন্দু মন্ডল, শুভংকর মন্ডল সহ আরও অনেকে।
আরও জানানো হয়, সরকার থেকে প্রদত্ত ত্রাণ সামগ্রী ইউপি সদস্য জয় কুমার মন্ডল ন্যায্য প্রাপ্যতা অনুযায়ী বিতরণ করেন নাই বলে অভিযোগ করা হয়। এলাকায় জমির ব্যবসার সাথে জড়িত থাকার কারণে সাধারণ জনগনের সাথে হয়রানিমূলক আচরণ করে ওই ইউপি সদস্য। এজন্য চেয়ারম্যানের নিকট প্রতিনিয়ত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আসছিলো। তার আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অনেক পরিবার দেশ ছেড়েছে বলে অভিযোগ আছে।
তাছাড়া পঞ্চু গ্রামের পানি ব্যবস্থাপনা দলের “ক্ষুদ্র অবকাঠামো” প্রকল্পের শ্রমিকদের মুজুরি না দেওয়ার অভিযোগ আছে উক্ত ইউপি সদস্য এবং তার পিতা সুভাষ মন্ডলের বিরুদ্ধে। উল্লেখিত বিষয়গুলো সরেজমিনে তদন্তপূর্বক আমি ও আমার পরিবারসহ এলাকার কিছু সংখ্যাক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভুক্তভোগিদের সার্বিক সহযোগিতা ও ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টির কামনা করেছেন তারা।
এবিষয়ে ইউপি সদস্য জয় কুমার মন্ডল মুঠোফোনে জানান, উল্লেখিত অভিযোগটি সঠিক নয়। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানের ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে একটি মহল বানোয়াট অভিযোগ তুলেছেন, দাবি তার।